পটলের ভর্তা ও মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা রেসিপি

পটলের ভর্তা মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা রেসিপি

কোরবানির মাংস খেতে খেতে যখন আপনার মুখে সাদটাই চলে গেছে তখন চাই ভিন্ন রকমের কিছু। তা যদি হয় বিভিন্ন রকমের ভর্তা তাহলে তো কথাই নেই। সেই ও ভর্তা দুটো হল পটলের ভর্তা ও মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা রেসিপি আজকে আমরা আলোচনা করব  কিভাবে পটলের ভর্তা এবং মিষ্টি কুমড়োর  খোসা বাটা তৈরি করতে হয় চিঠির উপকরণ লাগে সে সম্পর্কে।

ভাইরাল পটলের রেসিপি (Potol Recipe Bengali)

আসুন এগুলোর উপকারিতা সম্বন্ধে একটু জেনে নেই।

পটল রক্ত পরিশোধনের সহযোগিতা করে এবং শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। পরিপাক  তন্ত্রকে ভালো রাখে কারন পটলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। সর্দি-কাশি তো পটল খুব উপকার। পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি কুমড়া একটি সবজি, যা আপনার ত্বক এবং শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি  বিভিন্ন ভিটামিনের পাশাপাশি ভিটামিন সির  একটি বড় উৎস। 

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

পটলের ভর্তা রেসিপি তৈরি করার জন্য আপনার যে সমস্ত উপকরণ দরকার দেওয়া হয়েছে এগুলো ফলো করে  ভাইরাল পটল ভর্তা রেসিপি তৈরি করুন

  • খোসাসহ পটল ৫/৬ টা
  • পেঁয়াজ মিডিয়াম সাইজের ২টা
  • রসুন ১০/১২ কোয়া
  • কাঁচা মরিচ ১০ টা (আপনি যেমন ঝাল খেতে চান) 
  • কালোজিরা ২ চাচামচ
  • সরিষার তেল হাফ কাপ 
  • শিলপাটা 
  • লবণ পরিমাণ মতো 
  • তাওয়া অথবা কড়াই 

প্রস্তুত প্রণালী :

১) প্রথমে একটি ছুড়ি বা বটির সাহায্যে পটল গুলো ছেঁচে নিন।এখানে পটলের খোসা সহ রাখতে হবে ছিললে চলবে না।

২) পটল গুলো গোল গোল করে কেটে নিন। চাইলে পটলের বিচিগুলো ফেলে দিতে পারবেন । কিন্তু না ফেললেও  চলবে। 

৩) পেঁয়াজ কিউব করে কেটে নিন। 

৪) রসুন আস্ত থাকবে। 

৫) সবগুলো  উপকরণ ভালো করে ধুয়ে নিন। 

৬) চুলায় একটি কড়াই বা তাওয়া বসিয়ে দিন। তাওয়া গরম হলে  তাতে ২ চা চামচ সরিষার তেল দিন।

৭) গরম তেলে প্রথমে ধুয়ে রাখা পটল গুলো দিয়ে নিন। পটল গুলো ভাজতে থাকুন। 

৮) পটল হালকা মজে  গেলে তাতে এক এক করে পেঁয়াজ, আস্ত রসুন এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন। 

৯) সবগুলো উপকরণ আস্তে আস্তে ভাজতে থাকুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবেন না। এতে পটলের কালার নষ্ট হয়ে যাবে। 

১০) এখন কালজিরা দিয়ে দিন। কালোজিরা দিয়ে ২ মিনিট ভাজুন সবগুলোর সাথে।দুই মিনিট পর কড়াই নামিয়ে সবগুলো উপকরণ ঠাণ্ডা হতে দিন। 

১১) শিলপাটা টা ভালো করে মুছে নিন। সবগুলো উপকরণ একসাথে বেটে নিন। বাটা হয়ে গেলে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। 

১২) একটি বাটিতে পটলের ভর্তাটা নিয়ে নিন। উপরে কাঁচা সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন

বেশ,মজাদার পটলের ভর্তা রেডি এখন গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

পটলের ভর্তা

আরও পড়ুন: পটলের ভর্তা ও মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা রেসিপি

আরও পড়ুন: সাদা পোলাও ও বাসন্তী পোলাও রেসিপি

আরও পড়ুন: আনাড়ি হাতে বিফ ঝাল রেজালা রেসিপি

মিষ্টি কুমড়োর খোসা বাটা/ভর্তা ( Pumpkin recipe)

মিষ্টি কুমড়োর খোসা বাটার জন্য যে সমস্ত উপকরণ দরকার দেওয়া হয়েছে এগুলো ফলো করে তৈরি করুন

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

  • মিষ্টি কুমড়ার খোসা ১ বাটা
  • রসুন ১০/১২ কোয়া
  • পেঁয়াজ বড় ১টা
  • শুকনা মরিচ ৫/৬টা
  • সয়াবিন তেল
  • পরিমাণমতো লবণ
  • সরিষার তেল 
  • শিলপাটা 

যেভাবে বানাতে হবে :

১) চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিন। কড়াই গরম হলে এখানে দুই  চা চামচ পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে দিন। 

২) মিষ্টি কুমড়ার খোসা গুলো তেলে দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে তা ভেজে নিন।ভাজার  সময় চুলার আচঁ কমিয়ে রাখতে হবে। যেন পু্ড়ে  না যায়। 

৩) মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভাজা হয়ে গেলে তা একটি পাত্রে তুলে রাখুন।

৪) একই করাইতে আরো এক চামচ পরিমাণ সয়াবিন  তেল দিয়ে দিন। তেলের মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন হালকা করে ভেজে নিন। 

৫) পেঁয়াজ রসুন ভাজা হয়ে গেলে তা নামিয়ে রাখুন 

৬) এখন শুকনা মরিচ গুলো হালকা করে ভেজে নিন। 

৭) সবগুলো উপকরণ ঠান্ডা হয়ে গেলে শিলপাটায় নিয়ে নিন। প্রথমে ভেজে রাখা মিষ্টি কুমড়ার খোসা, তারপর এক এক করে পেয়াজ, রসুন এবং শুকনা মরিচ একসাথে বেটে নিন। 

৮) মনে রাখবেন মিষ্টি কুমড়ার খোসা মিহি করে বাটা হলেও পেঁয়াজ রসুন একটু কম বেটে নিন।

৯) পরিমাণমতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। এবং সবশেষে এক চামচ পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে নিন এবং বেটে রাখা মিষ্টি কুমড়ার  ভর্তার সাথে মেখে নিন।

পটলের ভর্তা মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা রেসিপি

এখন খেয়ে  টেস্ট করুন

এখন শুধু খাওয়ার পালা গরম গরম ভাতের সাথে মেখে খেয়ে নিন পটল ভর্তা ও মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা। আর মুখ হারিয়ে যাওয়া সাধ ফিরিয়ে আনুন। প্রেম করে রেসিপি দুটো কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না যেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *