প্রযুক্তির এই যুগে  প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষের জীবনযাপন ধ্যান-ধারণা সবকিছুই পাল্টে যাচ্ছে। মডার্ন সাইন্স মানুষের জীবনকে করে তুলেছে সহজতর। বর্তমানে ব্যবসায় বাণিজ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে ইন্টারনেট। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা করার একটা প্লাটফর্ম হল ফেসবুক। ফেসবুক বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটা প্ল্যাটফর্ম আগে মানুষ ব্যবসার উন্নতির জন্য বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করা, ইত্যাদি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ঘরে বসে, শুয়ে থেকে কোম্পানির প্রচার প্রচারণা করা যাচ্ছে। ফেসবুক মার্কেটিং কি? ফেসবুক মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করা যায়? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তো যারা জানেন না তারা আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অযথা কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক —-

ফেসবুক মার্কেটিং কি

ফেসবুক মার্কেটিং হল এমন একটি সিস্টেম যা পণ্য বা সেবা সম্পর্কিত তথ্য ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেয়। অর্থাৎ ফেসবুকের মাধ্যমে কোম্পানির তথ্য, পণ্য বা সেবার প্রচার প্রচারণা করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অল্প খরচে ফেসবুক মার্কেটিং হলো একটি লাভজনক প্ল্যাটফর্ম। 

প্রতিদিন প্রায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ ফেসবুকে ভিজিট করে। এর ফলে সহজেই গ্রাহকদের কাছে পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কিত তথ্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়। বর্তমানে ব্যবহারকারীর বিচরণের মাধ্যমে ফেসবুক একটা বড় মার্কেটপ্লেসে পরিণত হয়েছে। ফেসবুক মার্কেটিং মাধ্যমে সহজে কাস্টমারের সাক্ষাৎ পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে অতি সহজেই লাভবান হওয়া যায়। ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি, কাস্টমার বৃদ্ধি ও ব্যবসার উন্নতির জন্য ফেসবুক মার্কেটিং বহুল জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। 

ফেসবুক মার্কেটিং এর ধরন 

ফেসবুক মার্কেটিং সাধারণত দুই ভাবে করা যায় —

১. পেইড ফেসবুক মার্কেটিং: পেইড ফেসবুক মার্কেটিং হল টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করার পদ্ধতি। এই সিস্টেমে খুব দ্রুত ব্যবহারকারীদের মাঝে বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে এর জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে টাকা দিতে হয়। সাধারণত বাজেট বেশি হলে এবং কম সময়ে কাস্টমার সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য  পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করা হয়। পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য একটা ফেসবুক পেজ থাকা জরুরী। চাইলে ইনফ্লুয়েন্সারকে দিয়েও পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়। এর জন্য ইনফ্লুয়েন্সারকে টাকা দিতে হবে। 

ফেসবুক পেজে ঘোরাঘুরির সময় ব্যবহারকারীর যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখে তা পেইড বিজ্ঞাপন। যার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি বাজেট বেশি নিয়ে খুব দ্রুত কাস্টমার সংখ্যা বাড়াতে চান তাহলে পেইড ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারেন। 

পেইড ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা:

  • দ্রুত বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায় 
  • বহুল ক্যাটাগরি নির্বাচন করা যায় 
  • বাজেট অনুসারে ব্যবসার পরিধি বাড়ানো যায় 
  • ক্যাটাগরি অনুযায়ী সহজেই ইউজাররা পণ্যে আগ্রহী হতে পারে। 

অসুবিধা:

  • উদ্দেশ্যে গরমিল হলে লোকসান হতে পারে 
  • এ পদ্ধতিতে খরচের পরিমাণ বেশি হয় 
  • এ পদ্ধতিতে জটিলতা বেশি 
  • টাকা খরচ করেও সব সময় মন মতো কাস্টমার সংখ্যা পাওয়া যায় না। 

২. ফ্রি  ফেসবুক মার্কেটিং: ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং হলো টাকা ছাড়াই বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্যবহারকারীর মাঝে পণ্যের সেবা পৌঁছে দেওয়া ও কাস্টমার সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এই পদ্ধতিতে একটি ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপ, মেসেঞ্জার গ্রুপ ওপেন করা হয় এবং সেখানে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং সিস্টেমটা অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য। কারন ফেসবুকের নিউজ ফিডে পেজের পোস্টগুলো কম দেখানো হয়। 

তবে আপনি ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে দ্রুত  বিজ্ঞাপন ও পণ্যের সেবা প্রচার করতে পারবেন, এর জন্য একটা মানসম্মত গ্রুপ স্ট্যান্ডারাইজ করতে হবে। গ্রুপের মেম্বার সংখ্যা বাড়াতে হবে। তাহলে ফেসবুকের নিউজ ফিডে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দ্রুত প্রচার হবে। এর প্রধান কারণ হলো ফেসবুক এলগরিদমে  পেজের পোস্ট কম দেখিয়ে গ্রুপের পোস্টে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। 

ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা:

  • খরচ নেই, তাই লোকসান হওয়ার ভয় নেই 
  • এটা একটি সহজ পদ্ধতি 
  • ব্রান্ডের সচেতনতা  বৃদ্ধি করা যায়।
  • অর্গানিক সিস্টেমে পোস্ট আকর্ষণীয় করে ট্রাফিক বাড়ানো যায়।

অসুবিধা 

  • এটি সময়ে সাপেক্ষ পদ্ধতি 
  • অর্গানিক সিস্টেমে ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট করা যায় না। 
  • পেজ বা গ্রুপ ফলো না করলে পণ্য বা বিজ্ঞাপন দেখা যায় না। 
  • সুনির্দিষ্ট ফরমেটে ব্যবহারকারী টার্গেট করা যায় না। 

ফেসবুক মার্কেটিং করার কারণ 

একটা কোম্পানি যখন শুরু করা হয় তখন প্রথম অবস্থায় প্রয়োজন হয় সেই কোম্পানির প্রচার প্রচারণা করা। কারণ মানুষ যদি কোম্পানি সম্পর্কেই না জানে তাহলে পণ্য কিনবে কিভাবে? এর জন্য সহজ উপায় হচ্ছে,  ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার কোম্পানী,  আপনার পণ্য, আপনার সেবা, আপনার বিজ্ঞাপন, ব্যবহারকারীর কাছে সহজেই পৌঁছে দেওয়া। 

ফেসবুক মার্কেটিং করার কারণ হচ্ছে অল্প টাকায় অধিক কাস্টমারের কাছে পণ্যের সেবা ও বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেওয়া। প্রতিটি ব্যবসার মূল উদ্দেশ্যই থাকে মূলধনসহ লাভবান হওয়া।এক্ষেত্রে ফেসবুক মার্কেটিং করে অতি সহজেই সফলতা পাওয়া যায়। কারণ ফেসবুকে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ভিজিট করে। কারো না কারো চোখে আপনার পণ্য, আপনার বিজ্ঞাপন, অবশ্যই পড়বে। আপনার পণ্য কেনার জন্য কেউ না কেউ আগ্রহী হবে। এর ফলে অতি সহজেই আপনি ঘরে বসে অন্যের অর্ডার নিতে পারবেন। এজন্য ব্যবসায়ীদের ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। 

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করার উপায় 

ফেসবুক মার্কেটিং করে বিভিন্নভাবে আয় করা যায় —-

১.ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বিক্রি করে: বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের প্রতি সবারই আগ্রহ থাকে। অনেকেই আবার বাজারে কিছু কিছু ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস খুঁজতে খুঁজতে পেরেশানিতে পড়ে যায়। এক্ষেত্রে ফেসবুকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মার্কেটিং করে কাস্টমারদের আগ্রহী করা যায়। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের বিজ্ঞাপন, গুণগত মান ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করলে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর নিউজ ফিডে বিজ্ঞাপন দেখা যায়  এবং এক্ষেত্রে অনেক ব্যবহারকারী  পণ্য দেখে ক্রয় করার ইচ্ছা পোষণ করে। ফলে সহজেই ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব হয়। 

২.ডলার বিক্রয় করে আয়: ফেসবুকে মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে  দ্রুত গতিতে কাস্টমার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পেইড মার্কেটিং সহজ উপায় । পেইড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ডলার প্রদান করতে হয়। এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা প্রাথমিক অবস্থায় কোম্পানির প্রচারণা, পন্যের প্রচারণা বাড়ানোর জন্য ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং এ-র সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ডুয়াল কারেন্সি কার্ড না থাকলে সেটা সম্ভব হয় না।

আপনার  যদি ডুয়াল কারেন্সি  কার্ড থাকে  তাহলে আপনি তাদের কাছে ডলার বেশি দামে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। ডুয়াল কারেন্সি কার্ড পেতে হলে অনেক ভেজাল পোহাতে হয়। বর্তমানে দেখা যায় অনেকেই ডলার বিক্রি  করে ভালই মুনাফা পাচ্ছে। তো ফেসবুক মার্কেটিং এ ডলার বিক্রি করেও আপনি আয় করতে পারবেন। 

৩.দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয়: আপনি যদি ভালো ফেসবুক মার্কেটার হন বা আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিংয়ে খুব দক্ষ হন, তাহলে আপনি আপনার এই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন। এমন অনেক ওপেনার আছে যারা প্রাথমিক অবস্থায় ফেসবুক মার্কেটিং করার সময়  ভালোভাবে বুঝতে পারেনা। এক্ষেত্রে আপনি আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, সেই কোম্পানির মার্কেটিং করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে বিভিন্ন নতুন নতুন কোম্পানি দক্ষ ফেসবুক মার্কেটার খোঁজে।

একজন দক্ষ ফেসবুক মার্কেটার যখন একটি কোম্পানির অ্যাড প্রমোশন বাড়িয়ে দেয়, কাস্টমার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তখন সেই ফেসবুক মার্কেটারের মার্কেট ভ্যালু অনেক বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ফেসবুক মার্কেটিং এর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৪.বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়: ফ্রি ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সাধারণত বিজ্ঞাপন দেখানো হয় বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে ফেসবুক আলগরিদমে গ্রুপের প্রাধান্য বেশি দেওয়া হয়। জনপ্রিয় পেজ বা গ্রুপ এ-র মাধ্যমে  অন্য কোম্পানির পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা সম্ভব। বিভিন্ন জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে বিভিন্ন কোম্পানি পেইড প্রমোশনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রুপের মালিক বা এডমিন কে বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা দিতে হয়। তো এইভাবে পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে আয় করা যায়। 

এছাড়া আরো অন্যান্য আয় করার উপায় —

  • যাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইট আছে তারা ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী  মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি করে পেজ ভিউ ও ভিডিও ভিউ বাড়াতে পারেন। এতে করে অনেক ইনকাম হবে। 
  • ফাইবারের কাজের ক্ষেত্রে ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারেন। ফাইবারের বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে বায়ারকে খুঁজে পাওয়া যায়। এর ফলে আপনার কাজের পরিধি বেড়ে যাবে। যত কাজ হবে ততই ইনকাম হবে। 
  • ফেসবুক মার্কেটিং এ বিভিন্ন ধরনের লোকাল বিজনেস এর মাধ্যমে আয় করা যায়। এক্ষেত্রে টি-শার্টের ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে ভালো ডিজাইনিং টি-শার্টের চাহিদা প্রচুর।

কাস্টমারের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য টি-শার্টের ছবি পোস্ট করুন। প্রতিদিনের অনেক ব্যবহারকারীর মধ্যে কোন না কোন ব্যবহারকারী আপনার টি-শার্ট কে পছন্দ করে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করবে। এভাবে কিন্তু সহজেই অল্প খরচে, ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা যাচ্ছে। প্রিমিয়াম থিম, প্রিমিয়াম ভিপিএন, ডোমেইন,  হোস্টিং, এগুলো হলো ডিজিটাল পণ্য। এগুলোর বিক্রির মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। 

ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা 

ফেসবুক মার্কেটিং এর বিভিন্ন সুবিধা:

  • ঘরে বসে আয় করা যায় 
  • পরিশ্রম কম ও সহজ পদ্ধতি 
  • পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে দ্রুত গতিতে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়। 
  • খুব সহজে কাস্টমার খুঁজে পাওয়া যায়। 
  • স্থান,  কাল বিবেচনা করে মার্কেটিং করা যায়। 
  • বয়সের ক্যাটাগরি বিবেচনা করে মার্কেটিং  করা যায় 
  • পন্যের উপযুক্ত কাস্টমার খুঁজে পাওয়া যায়। 
  • কম খরচে লাভজনক মার্কেটিং পরিকল্পনা করা যায়। 

ফেসবুক মার্কেটিং এর অসুবিধা 

ফেসবুক মার্কেটিং এর বিভিন্ন অসুবিধা আছে তা নিম্নরূপ —

  • অতিরিক্ত  মার্কেটিং এর ফলে গ্রাহকরা মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়। 
  • অনেক ডিজিটাল মার্কেটার আছে যারা পণ্যের নামে ভুল তথ্য দিয়ে গ্রাহকদের ধোকা দেয়। 
  • অনেক সময় কাস্টমাররা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে বিড়ম্বনা পরে যায়। 
  • ফেসবুক মার্কেটিং এর আরেকটা সমস্যা হচ্ছে বর্তমানে মার্কেটিং এ নতুন নতুন সিস্টেম যুক্ত হচ্ছে। এর ফলে মার্কেটার দের প্রতিনিয়ত সিস্টেম চেঞ্জ করতে হচ্ছে। ফলের সহজেই খাপ খাইয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং 

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করা যায়। তবে ফেসবুক মার্কেটিং এর সব ধরনের কাজ মোবাইল দিয়ে করা যায় না। এক্ষেত্রে মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে পণ্যের কনটেন্ট তৈরি করে ফেসবুক পেজ বা  গ্রুপে আপলোড করা যায় এবং শেয়ার করা যায়।  ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং বা এড রান মোবাইল দিয়ে করা যায়। এছাড়া কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ আদান প্রদান করা যায়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক কেন ভালো? 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক হচ্ছে একটা মানসম্মত প্ল্যাটফর্ম ও জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন গুলো অনেক তীক্ষ্ণ হয়। এখানে বয়স, লিঙ্গ, কাজ, অবস্থান, আগ্রহ, ইত্যাদি বিষয়গুলোর মাধ্যমে কাস্টমারদের নোটিশ করা যায়। এজন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফেসবুক খুব প্রয়োজনীয়। 

ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল 

  • ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ তৈরি করা শিখতে হবে 
  • ফেসবুকের অ্যাগরিদম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। 
  • ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। 
  • পেজ বা গ্রুপের সেটিং অপটিমাইজ সম্পর্কে জানতে হবে। 
  • সেগমেন্ট এর টার্গেটিং এবং ডেমোগ্রাফিক সম্পর্কে জানতে হবে। 

Facebook Marketing Course Expert Bundle

পরিশেষে

এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম ফেসবুক মার্কেটিং কি এবং ফেসবুক মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করার উপায় সম্পর্কে। আশা করি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ার পর যদি কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *