ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম

বছরে দুটি ঈদ হয়। এক বছর পর পর নামাজ পড়তে হয় বিদায় আমাদের অনেকের নামাজের নিয়মটা মনে থাকে না। বা নামাজে অনেক সময় ভুল হয়।। ঈদগাহ মাঠে যাওয়ার আগে অবশ্যই উত্তমরূপে অজু করে নিবেন। মাঠে যাওয়ার সময় তাকবির পড়তে পড়তে যাবেন। তাকবীর টি হল: আল্লাহু আকবার ,আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু ,আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ও লিল্লাহিল হামদ। এরপর ঈদগাহ মাঠে পৌঁছে , ইমাম সাহেব যে খুতবা পাঠ করবেন, তার সাথে আপনারাও খুতবা বোধ করবেন। নিচে নামাজ সম্পর্কে কয়েকটি নিয়ম তুলে ধরা হলো:

আপনারা ঘরে একাকী কিংবা জামাতের সাথে ঈদের সালাত আদায় করতে পারেন। বড় জামায়াতের আয়োজন করতে না পারলেও চার থেকে পাঁচজন মিলে জামাত তৈরি করে ঈদের নামাজ আদায় করুন। ঈদের সালাতে কোন আযান দিতে হয় না, কোন একামত দিতে হয় না আওয়াজ করে কেরাত পড়তে হয়। মেয়েরাও এই নিয়মে ঈদের সালাত আদায় করবেন।

ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম

ঈদের সালাতে আমাদের অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হয়। হানাফী মাযহাবের মতে , ছয়টি অতিরিক্ত তাকবীর দিয়ে ঈদের সালাত আদায় করতে হয়।

১। হানাফী মাযহাবে ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম ।

২। সাফি মাযহাবে ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম।

৩। হাম্বলী এবং মালিকি মাযহাবে ঈদের সালাত আদায়ের নিয়ম।

৪। ঈদুল ফিতরের নামাজের আরবি এবং বাংলা নিয়ত।

১। হানাফী মাযহাব: হানাফী মাযহাবে প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত তিনটি এবং দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিনটি। এভাবে মোট ছয়টি তাকবির হানাফী মাযহাবে দিয়ে ঈদের সালাত আদায় করতে হয়।

২। শাফি মাযহাব: সাফি মাযহাবে অতিরিক্ত ১২ টি তাকবীর দিতে হয়। প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত সাতটি এবং দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত পাঁচটি তাকবীর দিয়ে শাফি মাযহাবে ঈদের সালাত আদায় করতে হয়।

৩। হাম্বলী এবং মালিকি মাযহাব: এই মাযহাবে অতিরিক্ত ১১ টি তাকবীর দিতে হয়। প্রথম রাকাতে ছয়টি এবং দ্বিতীয় রাকাতে পাঁচটি থাকবে দিয়ে এই মাযহাবের ঈদের সালাত আদায় করতে হয়।

আমরা বাঙালিরা যেহেতু বেশিরভাগ হানাফী মাযহাবের অনুসারী এবং কম  তাকবীর দিয়ে নামাজ আদায় করতে হয় । তাই নিচে ৬ তাকবীরের সাথে  কিভাবে নামাজ আদায় করতে হয় তা তুলে ধরা হলো: 

হানাফি মাযহাব 

  • ঈদের নামাজ দুই রাকাত পড়তে হয়।
  • প্রথমে তাকবীরে তাহরিমা আল্লাহু 
  • আকবার বলে সানা পড়বেন। ছানা পড়ে কেরাত পড়ার আগে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিবেন। তাকবীরটি হল: আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।
  • এরপর সূরা ফাতিহা পড়ে তার সাথে অন্য একটি সূরা পড়বেন। 
  • তারপর রুকু করবেন, সেজদা করবেন স্বাভাবিক নামাজের মতই।
  • এরপর দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাবেন।
  • এরপর সূরা ফাতেহার সাথে অন্য একটি সূরা পড়ে নিবেন।
  • রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর দিবেন। তাকবিরটি হল: আল্লাহু আকবার ,আল্লাহু আকবার ,আল্লাহু আকবার। এবং চতুর্থ তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাবেন।
  • এভাবে ছয়টি অতিরিক্ত তাকবীর দেওয়ার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই বাসায় ঈদের নামাজ আদায় করতে পারি। এবং ঈদের সালাত আদায় শেষে কোন খুতবা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

শাফি মাযহাব এবং হাম্বলী ও মালিকি মাযহাবের নামাজের নিয়ম হানাফী মাযহাবের নামাজের অনুরূপ। শুধু তাকবীরে পার্থক্য। উপরে আপনাদের সুবিধার জন্য প্রতিটি নামাজের তাকবির দেয়া হয়েছে। আপনারা যে যে মাযহাবের অনুসারী প্রত্যেকেই যার যার মাযহাব অনুসরণ করে খুব সহজে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন।

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত

নিয়ত শব্দের অর্থ হলো সংকল্প করা অথবা ইচ্ছা পোষণ করা। আপনারা নিয়ত মুখে পড়তে পারেন অথবা মনে মনে সংকল্প করেও করতে পারেন। তবে অনেকে মুখে নিয়ত করতে চান তাদের জন্য আরবি এবং বাংলা দুটি নিয়তি তুলে ধরলাম: 

আরবি নিয়ত

নাওয়াইতুয়ান ছলিয়া লিল্লাহি তা আলা  রাক আতাই সালাতিল ঈদুল ফিতরী মায়া সিত্তাতি তাকবিরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা ইকতে দাইতু বিহাজাল ইমাম মুতাওয়াজ জিহান ইলা জিহাতিল কায় বাতিস শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা নিয়ত

আমি ক্কেবলামুখী হয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ এই ইমামের পিছনে আদায় করিতেছি আল্লাহু আকবার এটাও যদি না পারেন শুধুমাত্র মনে মনে সংকল্প করে বা ইচ্ছা পোষণ করে নামাজ আদায় করবেন।ঈদের সকল আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের বাংলা গাইডে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *