যমুনা সেতু

বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু এটি যমুনা নদীর উপরে ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। যমুনা সেতু বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু যা বাংলাদেশের তিনটি বৃহত্তম নদীর মধ্যে যমুনা নদী একটি। তৎকালীন সময়ে এই সেতুটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু।

এই সেতুটি  পূর্বে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর ও পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ কে যুক্ত করেছে। এই সেতুটি নির্মাণ করার আগে দেশের উত্তর অঞ্চলের সাথে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পণ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সেতুটি নির্মাণ করায় রাজধানী থেকে দেশের উত্তর অঞ্চলের ২৬ টি জেলার পণ্য এবং যাত্রী পরিবহনে এবং বিদ্যুৎ প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালনে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া বর্তমানে সরকার যমুনা সেতুর পাশাপাশি যমুনা রেল সেতু স্থাপন করছে। আজকে আমি বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

যমুনা সেতুর বর্তমান অবস্থা

২০০৮ সালে সেতুটির ফাটল দেখা দেওয়ায়  কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতি এবং যাতায়াতের ভোগান্তি দূর করার জন্য বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ নেয় বঙ্গবন্ধুর রেল সেতু স্থাপনের। 

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু 

যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে বিদেশি কোম্পানির দ্বারা রেল সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ এবং কাজের অগ্রগতি চল্লিশ শতাংশ। টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্ত বরাবর দেশি-বিদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের পরিশ্রমে এগিয়ে চলছে রেল সেতু নির্মাণ কাজ। ৪.৮ কিলোমিটার সেতুটি  দাঁড়িয়ে থাকবে 50 টি পিলারের উপর যার ৩০ টি পাইলিং এর কাজ অলরেডি শেষের দিকে। রাত দিন চলছে সেতুটি নির্মাণ কাজ বর্তমানে এখন সেতুর পিলারের পাইলিং এর কাজ চলছে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করেছেন রেলমন্ত্রী।

যমুনা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর কাজ কত সালে শুরু হয়? 

উত্তর: যমুনা সেতুর কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালে।

যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণকারী কোম্পানির নাম কি?

উত্তর: যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণকারী কোম্পানির নাম হুন্দাই, এটি একটি জাপানি কোম্পানি।

যমুনা সেতু কোন জেলায় অবস্থিত?

উত্তর: এটি  টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জের মধ্যবর্তী যমুনা নদীর উপর নির্মিত।

যমুনা সেতু দক্ষিণ এশিয়ার কততম সেতু?

উত্তর: এটি এশিয়ার ষষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু। 

এটি বিশ্বের কততম সেতু ?

উত্তর: এটি বিশ্বের ১২ তম সেতু  টাঙ্গাইলেযমুনা সেতু নির্মাণে কত টাকা খরচ হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ কত ?

উত্তর: দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.৫ মিটার।

ঢাকা থেকে যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু কত কিলোমিটার?

যমুনা সেতু কত সালে উদ্বোধন হয়েছে?

উত্তর: সেতুটি ১৯৯৮ সালে উদ্বোধন করা হয়।

যমুনা সেতু কোন সরকার উদ্বোধন করেন?

উত্তর: তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার এই সেতুটি  উদ্বোধন করেন এবং নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু সেতু। 

যমুনা সেতুর পিলারের সংখ্যা কয়টি?

উত্তর: সেতুটির পিলারের সংখ্যা মোট ১২১ টি।

বঙ্গবন্ধু সেতুর স্প্যানের  সংখ্যা কতটি

উত্তর: স্প্যানের সংখ্যা মোট ৪৯ টি ।

যমুনা সেতুর আয়ুষ্কাল কত বছর

উত্তর: যমুনা সেতুর আয়ুষ্কাল ১২০ বছর।

বঙ্গবন্ধু সেতুটি নির্মাণ করতে কত টাকা খরচ হয়েছে?

উত্তর: সেতুটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছিল  ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *