মাহে রমজানের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

রমজান মাস বিশ্ব মুসলিমদের জন্য পবিত্রতম মাস। দীর্ঘ 11 মাস প্রতীক্ষার পর আসে মাহে রমজান। রমজান মাস প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য উৎসবের মাস। রোজা বলতে শুধু সারাদিন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই নয়, রোজা সকল প্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত রাখে। আর এই রমজানে আনতে হয় খাদ্যাভ্যাসের নানা পরিবর্তন। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খাবার না খেলে ভুগতে হয় নানা রকম শারীরিক সমস্যায়।

এই রমজান মাসেও কিভাবে সুস্থ থাকা যায় সে বিষয়ে আমি ডাক্তার কে এম সাইফুল্লাহ এর সাথে পরামর্শ করে যে সকল তথ্য জানতে পেরেছি তা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। ডাক্তার কে এম সাইফুল্লাহ ভারতের ন্যাচরোবেদা হেলথ ওয়াল্ড এর চিফ মেডিকেল ডিরেক্টর।

ডা. কে এম সাইফুল্লাহ বলেন রোজা রাখার ফলে সারাদিন পাকস্থলীতে কাজের গতি কম থাকে। যার কারণে ইফতারের সময় খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। সে ক্ষেত্রে সেহরির খাবারের চেয়ে ইফতারের খাবারের পরিবর্তন আনা জরুরী।

রমজানের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

ইফতারের খাবারে নিয়ম:

১। কম খাওয়া: ইফতারে সব সময় চেষ্টা করতে হবে কোন খাওয়ার। কারণ অধিক খেলে পাকস্থলী দ্রুত কাজ করে ফলে শরীরে আরো কিছু অংশ সেখানে যোগ হয়। ফলে হাঁসফাঁস লাগে।

২। সহজে হজম হয় এমন খাদ্য খাওয়া: সব সময় চেষ্টা করতে হবে এমন খাদ্য খাওয়া যা দ্রুত হজম হয়। সে ক্ষেত্রে ফলমূল ও শর্করা জাতীয় খাদ্য বেশি খেতে হবে। ভাজিপোড়া কম খেতে হবে।

৩। ইফতারে খেজুর: ডা. কে এম সাইফুল্লাহ বলেছেন খেজুর মানুষের প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করে। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে খেজুর।

৪। সারাদিন পানি না খেলেও শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। তাই সেহরি ও ইফতারের সময় বেশি বেশি পানি ও ফলের জুস পান করা উচিত। ইফতারে একেবারে পানি বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া উচিত। বাজারে তৈরি ফলের জুস না খেয়ে বাড়িতে তৈরি ফলের জুস খাওয়া উচিত। এছাড়াও মৌসুমী ফল খেতে পারেন ।

এছাড়াও ডা. কে এম সাইফুল্লাহ বলেছেন রোজা রাখার কারণে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি লাভ হয়। হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস এবং মরণব্যাধি ক্যান্সার নিরাময়ের সাহায্য করে।

সঠিক নিয়মে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রোজার মাসেও শরীরকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *