বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব আজ হাতের মুঠোয়। ঘরের কাছ থেকে শুরু করে বাজার করা অফিস করা সবকিছু আজ করা হয় অনলাইনে মাধ্যমে বা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। এ প্রযুক্তির যুগে মানুষ নানাভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইনকাম করে থাকে। তার মধ্যে একটি ইনকাম সোর্স হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা। আপনারা যদি একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইডার হতে চান এবং কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য।আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা যে কনটেন্ট রাইটিং, কিভাবে দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হওয়া যায় জানতে পারব তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক —

কনটেন্ট রাইটিং কি?

কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই আমাদের যে বিষয়টি জানতে হবে তা হল কনটেন্ট কি। কনটেন্ট হলো একটি ইংরেজি শব্দ। কন্টেন্টের আভিধানিক অর্থ বিষয়বস্তু। কন্টেন্ট বা আর্টিকেল হল এমন একটি বিষয় বস্তু যা কোন নির্দিষ্ট বিষয়কে তথ্যসহ  বিভিন্নভাবে নিজের মেধা ও জ্ঞান দিয়ে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যম। বর্তমানে কনটেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি খুবই জনপ্রিয় একটি ইনকাম সোর্স।

কনটেন্ট রাইটিং কি ?

আমরা উপরে কনটেন্ট সম্পর্কে জেনেছি এখন জানব কনটেন্ট রাইটিং কি? কনটেন্ট রাইটিং হল নিজের অভিজ্ঞতা ,কৌশল এবং জ্ঞান এর ব্যবহার করে কোন কিছু লেখা। ধরুন, আপনি নিজে কোন বিষয় লিখে সেটা কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে পাবলিশ করলেন তাহলে আপনি যেটা লিখলেন সেটাও একটি কন্টেন্ট। বিভিন্ন ভাষায় কনটেন্ট লেখা যায়। কনটেন্ট ইংরেজিতে হবে নাকি বাংলায় হবে সেটা নির্ভর করে আপনার কন্টেন্ট গুলো কোন লোকগুলোর কাছে পৌঁছাতে চান।

যেমন আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি চান আপনার কনটেন্ট শুধুমাত্র বাংলাদেশীরাই দেখুক, সে ক্ষেত্রে আপনি বাংলাতেই কনটেন্ট লিখতে পারেন। তবে আপনার যদি মনে হয় যে আমি আমার কনটেন্টটি ইন্টারন্যাশনাল ভাবে পাবলিশ করতে চাই তাহলে অবশ্যই আপনার কনটেন্টটি ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ এ লিখতে হবে।

কনটেন্ট রাইটার কাকে বলে ?

বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল যারা লেখে তাদের বলা হয় কনটেন্ট রাইটার। বর্তমানে কনটেন্ট writing এর দিকে মানুষ অধিক বেশি আগ্রহী। কারণ কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে দারুন কিছু ইনকাম এবং নিজের মেধাবিকাশের সুযোগ থাকে। যার কারনে এ বিষয়টাকে মানুষ অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

ব্যবহার:

  1. কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান: বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রোডাক্ট, সার্ভিস, সেলস ,মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লেখা হয়ে থাকে। একাউন্টেন্টের মাধ্যমে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের প্রোডাক্ট এর বিবরণ এবং ব্যবহার এবং বিভিন্ন রিভিউ প্রদান করে থাকে। যা দেখে মানুষ তাদের কোম্পানির প্রতি অধিক বেশি আগ্রহী এবং বিশ্বাস পায়। ফলে তাদের সেল বৃদ্ধি পায় এবং তাদের কোম্পানির গ্রো হয়।
  2. পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং: নিজস্ব ব্র্যান্ডিংয়ের জন্যও কনটেন্ট লেখা হয়ে থাকে। যেমন আমরা যদি অনলাইনে বিজনেস করে থাকি তাহলে আমাদের নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোমোশন পোস্ট যেমন উদ্যোক্তা প্রোমোশন পোস্ট ব্যক্তি ,প্রোমোশন পোষ্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে বিভিন্নভাবে পাবলিশ করা হয়।
  3. ব্লগিং: ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন কনটেন্ট ব্যবহার করে থাকি। কোন অনুষ্ঠান বা অন্য যেকোনো কিছুর ভিডিও করে সেগুলো এডিটিং করে তার সাথে কিছু তথ্য যুক্ত করে তৈরি করা ভিডিও ব্লগিং এ ব্যবহার করা হয়। মাধ্যমে আমরা আমাদের যেকোনো ট্রাভেলিং ,সুইমিং এবং যেকোনো মজার বিষয় খুব সহজেই শেয়ার করতে পারি এই ধরনের কনটেন্ট ব্যবহার করে। এছাড়াও কনটেন্ট এর বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার রয়েছে।

কনটেন্ট Writing কত প্রকার ?

বিভিন্ন বিষয়ের কনটেন্ট রাইটিং করা যায়। তার মধ্যে ছবি কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট,লিখিত কনটেন্ট , পিডিএফ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

  1. লিখিত কনটেন্ট: কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে লিখিত কনটেন্ট অধিক জনপ্রিয়। কোম্পানির প্রচার থেকে শুরু করে সেলস মার্কেটিং সহ বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত কনটেন্ট অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। লিখিত কনটেন্ট ইংরেজি এবং বাংলা দুইভাবেই হতে পারে।
  2. ভিডিও কনটেন্ট: কনটেন্ট ভিডিওর মাধ্যমেও হতে পারে। কোন ভিডিও করার পর সেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যুক্ত করে সেটা বিভিন্ন সাইটে প্রকাশ করা হলে এটি হবে ভিডিও কনটেন্ট। তবে কনটেন্টে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন যুক্ত করতে হবে।
  3. ইমেজ কন্টেন্ট: বিভিন্ন ধরনের ইমেজকে আমরা কনটেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারি.।

যেমন; আপনারা দেখবেন যে কোন সেলসম্যান বা অনলাইন বিজনেসম্যান যখন কোন পোস্ট দেয় তখন সে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর ছবির উপর প্রোডাক্টের দাম এড করে দেয়। এটাকে বলা হয় ইমেজ কন্টেন্ট। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রয়েছে। যা আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি।

কিভাবে একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার হওয়া যায় ?

কনটেন্ট সবাই লিখতে পারে কোন কনটেন্ট কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ হবে সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির কালেক্ট করা ইনফরমেশন এর উপর এবং লেখার কৌশল এর উপর। কনটেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে হতে হবে একটু ইউনিক। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি অনেক এগিয়ে যাবেন। আপনার জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের চাকরির সুযোগ কনটেন্ট রাইটার হিসেবে। যা আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন।

মেয়েদের জন্য কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করা অনেক বেশি সুবিধাজনক। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই অন্যদের থেকে আলাদাভাবে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। কনটেন্ট যদি কপিরাইট আইনের আওতাধীন হয় তাহলে গুগল থেকে আপনার কনটেন্টটি গ্রহণযোগ্য হবে না। সবসময় চেষ্টা করতে হবে নিজের বুদ্ধি এবং জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজের মতো করে কনটেন্ট লেখা। দক্ষ কনটেন্ট রাইটার হতে হলে কিছু গুণাবলী থাকা আবশ্যক। নিচে তা দেওয়া হল:

  1. সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার রুচি বা পছন্দ অনুযায়ী টপিক বের করতে হবে। যে বিষয়ে অধিক দক্ষ সেই বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখবেন। তাহলে আপনার কনটেন্ট টি হতে পারে অন্যান্য, অসাধারণ।
  2. কনটেন্ট টপিক সিলেক্ট করার পর আপনাকে এমন কিছু কনটেন্ট কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে যা অন্য কেউ লেখেনি।
  3. বেশি বেশি পড়ার অভ্যাস করতে হবে। হলে আপনার  ইউনিক কিছু আইডিয়া আসবে।
  4. প্রতিদিন কিছু না কিছু লেখার চেষ্টা করুন হোক এক লাইন বা 5 লাইন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী নিয়মিত লিখতে থাকুন। তাহলে আপনার লেখায় অনেক পরিবর্তন আসবে।
  5. অন্যান্য ব্লগিং সাইট ফলো করতে পারেন। কিভাবে তাদের আর্টিকেল গুলো সাজিয়েছে সেটা ফলো করে আপনি আপনার মত করে কনটেস্ট লিখবেন।
  6.  লেখার সময় আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে সেটা ধরার চেষ্টা করুন পরবর্তীতে এটা সংশোধন করে নিন।
  7. বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি চর্চা করুন তাহলে আপনার কনটেন্ট লিখতে অনেক সুবিধা হবে।
  8. শব্দের সঠিক বানান এবং সঠিক অর্থ জানার চেষ্টা করুন। সঠিক বানান এবং অর্থ আপনারা আর্টিকেল থেকে করবে অন্যদের থেকে একদম ইউনিক।
  9. যেকোনো বিষয়ে লেখার সময় সেই বিষয়ে সমস্ত ইনফরমেশন কালেক্ট করে নিজের মতো করে লিখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে আপনার ইনফরমেশনগুলো যেন একদম ইউনিক হয়।

এই  স্টেপ গুলো ফলো করলে আপনারা একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন। এবার আমরা যাব আমাদের আর্টিকেলের লাস্ট পর্যায়ে যেখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করব

‘ঘরে বসে Freelancing’ কোর্স অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার এক জনপ্রিয় স্কিন কোর্স ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এই কোর্সের মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ টু জেড শিখতে পারবেন এখনই জয়েন করুন

কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে কিভাবে আমরা ইনকাম করতে পারব ?

আমরা আগেই বলেছি কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সাইট থেকে ইনকাম করতে পারি।কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার কোম্পানিগুলো আপনাকে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দিবে। এক্ষেত্রে আপনি জব হিসেবে কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন। তবে আপনার সুবিধা হল আপনি ঘরে বসেই যে কোনো আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি নিজে কোন ব্লগিং সাইট খুলে দিতে পারেন যেখানে আপনার কন্টেন্ট গুলো পাবলিশ করবেন এবং সে কনটেন্ট এর উপর আপনি বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে পারবেন এটা একটি ইনকাম সাইট। এখানে আপনি কিছুদিন কাজ করার পর তারপর কাজ না করলেও আপনার ইনকাম আগের মতই আসতে থাকবে। এই বিষয়টির প্রতি মানুষ অনেক বেশি আগ্রহী থাকে সবসময়।এই নিয়মগুলো ফলো করলে আপনিও হতে পারেন একজন দক্ষ কনটেন্ট রাইটার। এই সম্পর্কে আরো কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের আগ্রহ অনুযায়ী আমরা নেক্সটে আবার আসব নতুন কোন কনটেন্ট নিয়ে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

ব্লগিং এন্ড ওয়েবসাইট নিয়ে আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *