বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

আমাদের কমবেশি সবাই ব্যবসা করতে চাই। লাভ ক্ষতি নিয়ে আমাদের ব্যবসা করতে হয়। কোন কোন ব্যবসায় অনেক লাভবান হওয়া যায় । তবে সময়ের সাথে সাথে আমরা বুঝতে পারি না যে কোন ব্যবসা আমাদের লাভবান করবে। আমাদের ব্যক্তি‌ জীবনকে‌‌ উন্নত করতে ব্যবসায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই অযথা চাকরির পিছনে না ঘুরে ব্যবসায়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া ভালো। এতে করে আমাদের নিজ স্বাধীনতা অর্জন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও লাভবান করতে চাইলে অবশ্যই ব্যবসা করতে হবে। তাই আমাদের ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য থাকতে হবে।

এই পোস্টে যা যা আছে

লাভজনক ব্যবসার বৈশিষ্ট্য ২০২৩

ব্যবসায়ী হতে হলে আমাদেরকে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। ব্যবসায়ের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে অন্যথায় আপনার ব্যবসায় লাভবান হওয়া সম্ভব হবে না। তাই আমাদের ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই বৈশিষ্ট্য গুলো মনে রাখতে হবে-

সততাঃ ব্যবসায়ের মধ্যে সততা রাখতে হবে। যদি সৎ ভাবে ব্যবসা করা যায় তাহলে দীর্ঘদিন ব্যবসা করা যাবে। সৎ ভাবে ব্যবসা করলে মানুষের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকবে এবং আপনার ব্যবসা করতে সমস্যা হবে না।

নিষ্ঠাঃ প্রকৃত ব্যবসায়ী কখনো মানুষকে ধোকা দেয় না। ধোকা দিয়ে মানুষকে ঠকানো যাবে না।মানুষকে ঠকালে ব্যবসা করে শান্তি পাওয়া যায় না । আপনার প্রতি মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে ফলে আপনার ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং আমাদের অবশ্যই নিষ্ঠাবান হতে হবে
আন্তরিকতাঃ ব্যবসা করতে গেলে ভালো ব্যবহার থেকে শুরু করে সবার সাথে আন্তরিকতা তৈরি করতে হবে যাতে করে সবাই আপনাকে প্রাধান্য দেয়। কথার মাধুর্য দিয়ে সবার মন কে জয় করতে হবে।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা 2023

বর্তমানে অনেক ধরনের ব্যবসা লক্ষ্য করা যায়। সেখান থেকে আপনাকে কিছু লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া খুঁজে নিতে হবে যা আপনার পরিশ্রম ও মেধাকে কাজে লাগাতে পারবেন । তাই বেকার বসে না থেকে  ব্যবসা করতে হবে।‍

১. লাভজনক কাপড়ের ব্যবসা

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে কাপড়ের ব্যবসা। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে কাপড় অন্যতম বস্ত্র। আমাদের সবসময়ই কাপড়ের চাহিদা‌ আছেই। যুগ যুগ ধরে কাপড়ের ব্যবসাটা মানুষ করে আসছে ফলে এই ব্যবসা ঠিকমতো করতে পারলে আপনি অবশ্যই লাভবান হবেন। কারণ বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমরা বিদেশে রপ্তানি করে থাকি ফলে বাংলাদেশের অনেক শিল্প কারখানা থেকে তৈরি পোশাক আমাদের দেশ সহ অন্যান্য দেশের কাপড়ের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

কাপড়ের ব্যবসা আপনি চাইলে নিজস্ব দোকান নিয়ে করতে পারেন আবার আপনি চাইলে যে কোন ফ্যাক্টরি থেকে কাপড় কিনে অনলাইন ই-কমার্স সাইটে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি দুই দিকে ব্যবসা করতে পারবেন যার ফলে আপনার যথেষ্ট পরিমাণ লাভ থাকবে। 

টাঙ্গাইলের শাড়িঃ কথায় আছে শাড়িতেই নারী। বর্তমানে শাড়ির ব্যবসাটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাঁতের শাড়ির দাম ও মানের দিক থেকে অনেক ভালো। যে কোন অনুষ্ঠানে মেয়েদের প্রধান বস্ত্র হিসাবে শাড়ি অন্যতম ।আপনি চাইলে টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। টাঙ্গাইলের শাড়ি শুধু আমাদের বাংলাদেশেই নয় ওপার বাংলা ভারতেও জনপ্রিয় বস্ত্র। তাঁতিদের কাছ থেকে সরাসরি পাইকারি ও খুচরা শাড়ি কিনে ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে শাড়ির ব্যবসাটা বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট-ফেসবুক,ইউটিউব,ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।

 প্যান্ট শার্টঃ আধুনিকতার নতুন ছোঁয়ায় ছেলেমেয়ে উভয়ের প্যান্ট শার্ট নিত্য প্রয়োজনীয় বস্ত্র। যেকোনো ফ্যাক্টরি/ঢাকার যেকোনো বড় বড় মার্কেট থেকে পাইকারি দামে কিনে নিতে পারেন। তারপর  আপনারা চাইলে পাইকারি ও খুচরা প্যান্ট শার্ট বিক্রি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে দুভাবেই ব্যবসা করতে পারবেন আর এতে করে আপনার অনেক লাভবান হতে পারবেন।

থ্রি পিসঃ শাড়ির পাশাপাশি আমাদের মেয়েদের জন্য থ্রি পিস বেশ পরিচিত একটি বস্ত্র। কোন অনুষ্ঠান বা বাড়িতে ব্যবহার করতে আমরা থ্রি পিস ব্যবহার করে থাকি। থ্রি পিস গুলা পড়তে বেশ আরামদায়ক হওয়াতে মেয়েদের জন্য এই পোশাক অন্যতম ভূমিকা পালন করে। আমরা চাইলে যে কোন ফ্যাক্টরি/বড় পাইকারি দোকান থেকে কিনে নিজেরা দোকান বা বাড়িতে থেকে বিক্রি করতে পারি। এর জন্য আমাদের মার্কেটিং অধিক প্রয়োজন। যত বেশি মার্কেটিং করতে পারব তত বেশি বিক্রি হবে আর এভাবে আমরা অনেক বেশি লাভবান হব।

২. অধিক লাভজনক খাবারের ব্যবসা

বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাবার প্রয়োজন তেমনি খাবার দিয়ে আমরা ব্যবসা করতে পারি। আমরা চাইলে ঘরোয়া খাবার তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারি। স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু খাবার তৈরি করে মানুষের মন জয় করতে হবে তবেই খাওয়ার ব্যবসা করে আপনি লাভবান হবেন।খাবার ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে। মার্কেটিং করে আপনি খাবারের চাহিদাটা বাড়াতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কম দামে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও গুণগতমান ঠিক রাখতে হবে। ফলে গ্রাহকের খাবার অর্ডার করতে আগ্রহ জাগবে।

খাবারের ব্যবসায় ডেলিভারির কথাও চিন্তা করতে হবে।খাবার বিক্রির জন্য বর্তমানে আমাদের হোটেল দেওয়া প্রয়োজন পড়বে না, আমরা চাইলে বর্তমানে জনপ্রিয় ফুড পান্ডার সাথে যুক্ত হয়ে খাবার ডেলিভারি করতে পারি। যার কারণে আমাদের খাবার ব্যবসাটা অনেক লাভবান করবে। তবে খাবারের ব্যবসা করতে গেলে আমাদের খাবারের গুণগতমান ও স্বাদ ঠিক রাখতে হবে না হলে পরবর্তীতে এই খাবারগুলো আমরা বিক্রি করতে পারবো না। কম দামে খাবার পরিবেশন করা বেশিরভাগ প্রয়োজন তা না হলে আমরা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী খাবার ডেলিভারি দিতে পারব না।

৩. লাভজনক ই-কমার্স

তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর যুগে আমরা অনলাইনে ব্যবসা করতে পারি। বর্তমান সময়ে অনলাইন ভিত্তিক অনেক প্লাটফর্ম আছে যেখানে আমরা সহজেই ব্যবসা করতে পারি। ফলে যার ফলে আমাদের আর বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না ঘরে বসেই ব্যবসা করা যাবে। যা‌ আমাদের জীবনকে অনেক সহজ ও লাভবান করে তুলছে। অনলাইনে ব্যবসা করার কিছু প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ফেসবুক অন্যতম।

আমরা চাইলে ফেসবুকে পেইজ খুলে বিভিন্ন জিনিসপত্রের বিজ্ঞাপন দিতে পারি এবং সেগুলো সহজেই বিক্রি করতে পারি। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সততার সাথে ব্যবসা করতে হবে এবং মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ভালো মানের পণ্য বিক্রি করতে হবে। এছাড়াও ভালো ডেলিভারি সিস্টেম চালু রাখতে হবে তাহলে আমরা লাভবান হতে পারব।

তাছাড়া ইউটিউবে, ইনস্টাগ্রামে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারি যার ফলে আমাদের মার্কেটিং এর কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

৪. টিউশনি করে লাভজনক ব্যবসা

বেঁচে থাকতে হলে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আর ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে সফল হতে পারি আমাদের জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে পারি। পৃথিবীর যে প্রান্তে যাই না কেনো শিক্ষা গ্রহণ করতেই হবে। তাই আমাদের খাদ্য ও বস্ত্রের পাশাপাশি শিক্ষাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি কাজে লাগিয়ে ব্যবসার মত লাভবান হতে পারি। আপনি যদি ভালো ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আশেপাশে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের আপনার লেখাপড়ার‌ পাশাপাশি তাদেরকে পড়াতে পারেন। যার ফলে আপনার যেমন চর্চা বাড়বে তেমনি আর্থিক দিক দিয়েও আপনি লাভবান হবেন। যত বেশি সময় দিবেন আর যত ছাত্র পড়াবেন তাতে আপনার অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।

৫. লাভজনক অডিও ভিডিও কোর্স বিক্রি ব্যবসা

আপনার অনেক মেধা আছে কিন্তু সেটা আপনি সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে পারতেছেন না? আর এই আপনার প্রতিভাকে ছড়ানোর জন্য আপনি চাইলে অডিও ভিডিও ফাইল তৈরি করে বিক্রি করে দিতে পারেন। নিঃসন্দেহে এটা একটা জনক ব্যবসা এবং বিনা পুঁজিতে ব্যবসা। অডিও ভিডিও ফাইল যেমন আপনাকে অনেক লাভবান করবে তেমনি যারাই ফাইলগুলো কিনবে তারাও অনেক লাভবান হবে।

৬. লাভজনক কোচিং ব্যবসা

প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর অঞ্চল পর্যন্ত সব জায়গায় বাচ্চাদের থেকে শুরু করে বড়দের কোচিং করানো হয়। বিভিন্ন মেডিকেল ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোচিং খুলে নিতে পারেন। যদি ভালো মার্কেটিং ও অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা এ কোচিং গুলো পরিচালনা করলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় ছেলে মেয়েদের জন্য প্রতিদিনের পড়ালেখার জন্য আপনি কোচিং করে খুলে নিতে পারেন এতে করে আপনার একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা চালু হয়ে যাবে। আর এই ব্যবসাটা কখনোই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই বরং আপনি অনেক‌ লাভবান  হবেন।

৭. লাভজনক কসমেটিক্সের ব্যবসা

মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে কসমেটিক্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা দৈনন্দিন জীবনে ঘুরতে যাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কসমেটিক ব্যবহার করে থাকি।

গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণ কসমেটিক্স পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয় করা হয়। স্কুল-কলেজের সামনে কসমেটিকসের দোকান তরুণীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং মানুষের রূপচর্চায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। আমরা পাইকারি কসমেটিক্স কিনে দোকান থেকে শুরু করে অনলাইনেও বিক্রি করতে পারবো।

৮. লাভজনক ঔষধের দোকান ব্যবসা

বর্তমানে বাংলাদেশে সৌখিন ও লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে ওষুধের ব্যবসা। মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত ওষুধের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে আমরা সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হসপিটালের সামনে ওষুধের দোকান দিতে পারি। ওষুধের ব্যবসাটা এমন এক ব্যবসা যা কখনোই লস হওয়ার সম্ভাবনা নাই । পর্যাপ্ত চাহিদা সম্পন্ন ঔষধ দোকানে মজুদ রাখলে লাভের আশা সব সময় করা যায়।

৯. গ্রাম অঞ্চলের সবজির ব্যবসা

গ্রামের মধ্যে যাদের পর্যাপ্ত চাষ করার মতো জায়গা জমি আছে তারা সবজির ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমান সময়ে কাঁচা শাকসবজি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার তরকারি অনেক চাহিদা সম্পন্ন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উৎপাদন করে তা বাজারে বিক্রি করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল চাষ করে লাভবান হওয়া যায় ।

১০. ব্লগিং করে লাভজনক ব্যবসা

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্লগ করতে পারেন। এই কাজটা বর্তমানে মার্কেটিং ও ব্যবসায়ের একটা বড় অংশ। ফলে অন্যের পণ্যের মার্কেটিং হবে এবং আপনিও ইনকাম করতে পারবেন। যেমন-বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে খাবারের ব্লগ করা, পাইকারি মালামালের ব্লগ করা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্লগ করা, ভ্রমণ ব্লগ করা, রাইড ব্লগ করা ইত্যাদি।

১১. লাভজনক মোবাইল ফোনের ব্যবসা

খাদ্য বস্রের পরে মোবাইল ফোন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সঙ্গী। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের একটি মুহূর্তকে কল্পনা করা যায় না। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়। তাই দিন দিন মোবাইল ফোনের চাহিদা বেড়েই চলেছে‌। আমরা চাইলে নতুন মোবাইল ফোনের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারি আর এটা হবে অনেক লাভজনক ব্যবসা।

১২. পুরাতন মোবাইল ফোন ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা

দৈনন্দিন কাজে মোবাইল ফোন আমাদের  অনেক কাজে লাগে।‌ যাদের সামর্থ্য আছে তারা চাইলেই নতুন ফোন কিনতে পারে কিন্তু যাদের সামর্থ্য কম এবং যারা চায় কম দামে ভালো ফোন কিনতে তাদের জন্য আপনি পুরাতন ফোন ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা করতে পারেন। যার ফলে আপনি কম দামে মোবাইল ফোন কিনে সেগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে বাইরের দেশ থেকে এবং আমাদের দেশের ভালো দামি ফোন গুলো বিক্রি হয়, সেগুলো কিনে এক্সচেঞ্জ হিসেবে বিক্রি করতে পারি। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ফোন বিক্রি করতে পারলে আপনার অনেক লাভ হবে। ফোনের ব্যবসাটা দীর্ঘ সময়ের ব্যবসা যা সহজে বিলীন হয়ে যাবে না।

১৩. মৌসুমী ফসলের ব্যবসা

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মৌসুমী ফসলের আবাদ হয়। যেমন- পেঁয়াজ,রসুন,সবজি, জিরা, এলাচ দারুচিনি,এই মৌসুমী ফসলগুলো গুদামজাত করে ব্যবসা করতে পারি। এই ফসলগুলো আমাদের দৈনন্দিন রান্না করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু সময় এই ফসলগুলো অনেক দাম হয়ে থাকে যদি আমরা গুদামজাত করে ব্যবসা করতে পারি তাহলে আমরা অনেক লাভবান হতে পারব

১৪. পুরাতন ল্যাপটপ ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা

নতুন ল্যাপটপ ডেক্সটপ ক্রয় বিক্রয়ের পাশাপাশি যাদের সামর্থ্য কম তারা পুরাতন ল্যাপটপ ডেক্সটপ ক্রয়ের জন্য দোকানে যায়। বর্তমানে এটাও একটা লাভজনক ব্যবসা। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পুরাতন ল্যাপটপ ডেস্কটপ ক্রয় বিক্রয়ের দোকানপাট দেখা যায়। এখান থেকে আপনি দেশের বাইরে ল্যাপটপ অনেক কম দামে কিনতে পারবেন। আর সেগুলো দিয়ে শহরে বা গ্রাম অঞ্চলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করতে পারেন।

১৫. মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ এর ব্যবসা

নতুন ফোন কিনার পরে আমাদের প্রথম কাজটা হয় ফোনের সৌন্দর্য বাড়ানো। আর এই সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ হিসেবে আপনি ফোনের এক্সেসরিজ বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসাটা যদি আপনি ভালোমতো করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি লাভবান হবেন। আমাদের কম বেশি সবারই মোবাইলে ব্যাক কভার,স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগে। এই ব্যবসাটা শহরে বা যে কোন বাজারে করতে পারেন তাতে করে আপনার দোকানের চাহিদা বাড়বে এবং দ্রুত বিক্রয় করতে পারবেন।

১৬. জুতা তৈরি করার ব্যবসা

আমাদের প্রতিদিন হাঁটাচলা থেকে শুরু করে কোথাও যেতে গেলে জুতার প্রয়োজন হয়। আমরা চাইলে অল্প খরচ করে ধীরে ধীরে জুতা তৈরি কারখানা তৈরি করতে পারি। যদি আশেপাশের দোকানপাট থেকে শুরু করে সব জায়গায় ভালো মার্কেটিং করা যায় তাহলে এই জুতাগুলো ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। আর যদি ভালো মার্কেটিং হয় তাহলে আপনারা হোলসেল হিসেবে কাজ করতে পারেন তাতে করে আপনার পণ্যের চাহিদা অনেক থাকবে এবং দ্রুত বিক্রয় করতে পারবেন।

১৭. কম্পিউটার ল্যাপটপ সার্ভিসিং করার ব্যবসা

নতুন-পুরাতন ল্যাপটপ কেনার কিছুদিন পর তা মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সার্ভিস সেন্টারে যাই। এই ব্যবসাটাও বর্তমানে আপনাকে অনেক লাভবান করবে। এই কাজটা বর্তমানে চলমান একটা ব্যবসা যা সহজে নষ্ট হবে না। আপনারা চাইলে নিজের শিখে বা দক্ষ লোক দিয়ে সার্ভিসিং সেন্টার খুলতে পারেন। দেশের যে কোন জায়গায় বা শহর অঞ্চলে এই সার্ভিস সেন্টার গুলো ভালো চলে যা আপনাকে অনেক লাভবান করবে।

১৮. মোবাইল ফোন সার্ভিসিং করার ব্যবসা

মোবাইল ফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর হঠাৎ করেই একটা সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় আমরা বুঝতে পারিনা যে কি সমস্যা হচ্ছে। যার কারণে আমরা ফোনটাকে সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যাই। ব্যবসাটাও বর্তমানে অনেক ভালো ব্যবসা। শহরাঞ্চলে বা আমাদের আশেপাশের বড় বাজারে ফোনের সার্ভিস সেন্টার খুললে আমাদের অনেক লাভবান করবেন। আপনি নিজে শিখে বা দক্ষ লোক দিয়ে এই সার্ভিসের কাজ করতে পারেন। সার্ভিস এর কাজ করতে হলে আপনাকে সবার সাথে ভালো ব্যবহার এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

১৯. মুদি দোকানের ব্যবসা

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য আমাদের বাজারে/শহরে যেতেই হয়। তাই মানুষের আশেপাশে যদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পাওয়া যায় তাহলে কতই না ভালো হয়। আপনার আশেপাশে যদি মুদি দোকান দিতে পারেন তাহলে আপনি ভালো লাভবান হতে পারবেন। এতে করে মানুষকে আর কষ্ট করে দূর-দূরান্ত থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে হবে না তা আপনার কাছ থেকে পেয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সবার সাথে ভালো ব্যবহার এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

২০. প্রিন্টিং ব্যবসা

যেকোনো অনুষ্ঠান/ জন্মদিন /বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ব্যানার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই বর্তমানে কাগজ প্রিন্ট করতে হয়। তাই আপনি চাইলে প্রিন্টিং ব্যবসাটা চালু করতে পারেন যা আপনাকে এবং আপনার আশে পাশের মানুষকে লাভবান করবে। মানুষের প্রয়োজন পূরণ হবে এবং আপনারও আয় হবে।অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই প্রিন্টিং এর কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই গ্রামের বাজারে/শহরাঞ্চলে প্রিন্টিং এর কাজগুলো করতে পারেন।

২১. এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা

দৈনন্দিন কাজের জন্য আমরা ক্যাশ টাকা সঙ্গে রাখার চেয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। যার ফলে ক্যাশ টাকা সঙ্গে রাখার চেয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা রাখলে আমাদের অনেক সুবিধা হয় এবং টাকা হারানোর ঝুঁকি কম থাকে। আপনি চাইলে এই ব্যবসাটা করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করতেছে। যেমন-সোনালী ব্যাংক,ডাচ বাংলা ব্যাংক ,বিকাশ ,নগদ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি লাভবান হতে পারেন। শহর অঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামের হাট বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং গুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখে এবং আমাদের নিরাপদে ব্যবসা করতে উদ্বুদ্ধ করে।

২২.মাছের ব্যবসা

আমাদের যদি পর্যাপ্ত জায়গা থাকে তাহলে পুকুর কেটে মাছের পোনা ছেড়ে দিয়ে বড় করতে পারি। এটা যেমন আমাদের পরিবারের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করবে তেমনি এই মাছগুলো আমরা বিক্রি করে লাভবান হতে পারব। আর যদি পর্যাপ্ত চাষ করার জায়গা না থাকে তাহলে আমরা বিভিন্ন জেলের কাছ থেকে মাছ কিনে বাজারে বিক্রি করতে পারি। প্রতিনিয়ত যদি আমরা ব্যবসা করতে পারি তাহলে অনেক লাভ হবে।

২৩. গৃহপালিত পশু পালন

আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি কমবেশি সবাই গৃহপালিত পশু পালন করতে পারি। এটা এক ধরনের লাভজনক ব্যবসা যদি আমরা সঠিক মত পরিচর্যা করতে পারি তাহলে আমাদের অনেক লাভবান করবে। আমাদের বাড়িতে ষাঁড়গরু, গাভী,ছাগল,খাসি, হাঁস, মুরগি, আরো পশু পাখি অনায়াসে পালন করতে পারি। এগুলা নিজেদের আমিষের চাহিদা পূরণ করবে এবং আপনাকে লাভবান করবে।

২৪. ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা

বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ার পিছনে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অনেক অবদান রয়েছে। ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো নিয়ে আমরা ব্যবসা করতে পারি। যেমন- রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, ফ্রাইপেন মাইক্রোওভেন, হটপট আরও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রয় করতে পারি। দেশের বিভিন্ন বড় বড় ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি থেকে এই পণ্যগুলো আমরা কিনতে পারি এবং পরে তা বিক্রি করতে পারি।যা আমাদের অনেক লাভবান করবে।

বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি ?

বাংলাদেশে সময় অনুযায়ী ব্যবসা করার মত অনেক ব্যবসা রয়েছে যা অনেক লাভজনক। এর মধ্যে কয়েকটি লাভজনক ব্যবসা হল : 

  • কাপড়ের ব্যবসা
  • খাবারের ব্যবসা
  • নতুন-পুরাতন মোবাইল ফোনের ব্যবসা
  • কসমেটিক্সের ব্যবসা
  • ফার্মেসির ব্যবসা
  • অনলাইনে ই-কমার্সের ব্যবসা
  • এজেন্ট ব্যাংকিং

কি ব্যবসা করলে ভালো হয়?

  • ১. কাপড়ের ব্যবসা একটি সার্বজনীন ব্যবসা যা সবসময় চলমান থাকবে।
  • ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে সবাই ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। যার কারণে কোথাও গিয়ে আমাদের হয়রানি হতে হয় না। তাই অনলাইনে সততার সাথে ব্যবসায়ের চাহিদা অনেক বেশী ।
  • গৃহপালিত পশু পালন করতে পারেন। নিজের বাড়িতে থেকে ব্যবসা করতে চাইলে এই ব্যবসাটা অনেক ভালো ব্যবসা এবং অনেক লাভজনক ব্যবসা
  • ব্যবহৃত মোবাইলের ব্যবসা । এ ব্যবসা অনেক লাভজনক। অল্প পরিমাণ টাকা খরচ করে অধিক পরিমাণ লাভবান হতে পারবেন।

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি ?

বর্তমান সময়ে কয়েকটি ব্যবসায় লাভ অনেক বেশী। তার মধ্যে এগুলো নিম্নরূপ –

  • কাপড়ের ব্যবসা
  • খাবারের ব্যবসা
  • অনলাইনে কোর্স বিক্রি
  • কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসা

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লাভজনক ব্যবসা কোনটি ?

অনলাইনে ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা । বর্তমানের সবাই ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। তাই আপনার জন্য এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন । অনলাইন ব্যবসা করার জন্য কোন দোকান/জায়গার প্রয়োজন হয় না। আপনি যেকোনো জায়গা থেকে এই ব্যবসা করতে পারবেন। সেই হিসেবে অনলাইনে ব্যবসা করার সুবিধা অনেক বেশিই হয়ে থাকে।

কি ধরনের ব্যবসা করা যায় ?

বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ব্যবসা করা যায়।

  • কাপড়ের ব্যবসা
  • খাবারের ব্যবসা
  • অনলাইন ব্যবসা
  • ফার্মেসির ব্যবসা
  • পশুপালন
  • মাছ চাষ
  • কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসা
  • ব্যবহৃত মোবাইলের ব্যবসা
  • সবজির ব্যবসা

পরিশেষে বলা যায়, পরিশ্রমই সকল সাফল্যের চাবিকাঠি। আমি এখানে ২৪টি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া দিয়েছি। আপনার সুবিধা অনুযায়ী মেধা খাটিয়ে আপনি যে কাজটাই করেন না কেন সততার সাথে কাজ করলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। তাই আপনার সুবিধা মত আপনি যে কোন কাজটি বেছে নিয়ে আপনার ইচ্ছামত ব্যবসা করতে পারেন। শুভকামনা রইল ধন্যবাদ

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *