অনলাইন ব্যবসা

তথ্য প্রযুক্তির আশীর্বাদে সারা পৃথিবী আজ হাতের মুঠোয়। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আমরা যেকোনো কাজ ঘরে বসেই করতে পারি। টাকা ইনকাম থেকে শুরু করে সকল প্রকার কাজ আমরা করতে পারি বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। ইনকামের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে অনলাইন ব্যবসা এখন সারা পৃথিবীতে অধিক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এই মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে যেকোন ধরনের ব্যবসা যেকোনো দেশ থেকে করতে পারি।

আপনি যদি অনলাইন বিজনেস করতে চান এবং ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করে লাভবান হতে চান তাহলে আজকের কনটেন্টটি আপনার জন্য। আজকে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে খুব সহজে আমরা অনলাইন বিজনেস পরিচালনা করতে পারি। এই  বিজনেস সম্পর্কে সমস্ত ধারণা আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পেয়ে যাবেন। আজকের কন্টেন্ট থেকে যে সকল বিষয় জানতে পারবে

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত

আজকের কন্টেন্ট থেকে যে সকল বিষয় জানতে পারবেন তাহলে চলুন বিস্তারিত জানা যাক:

অনলাইন বিজনেস কি?

ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে ঘরে বসেই মোবাইল,কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমকে অনলাইন বিজনেস বলে। বর্তমানে অনলাইন বিজনেস অধিক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এটি আপনি যেকোনো জায়গা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ বা ডাটা ব্যবহার করে বিজনেস পরিচালনা করতে পারবেন। বর্তমানে সবাই এই বিষয়টার জন্য অধিক আগ্রহী। এটির মাধ্যমে দেশে বসেও আপনি বিদেশি ক্লায়েন্টদের সাথে বিজনেস শেয়ার বা পরিচালনা করতে পারবেন।

অনলাইন বিজনেস কেন করব?

চাকরির থেকে বিজনেস টাকে মানুষ অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কারণ চাকরিতে বেশ ধরা বাধা কিছু নিয়ম নীতি থাকে যার কারণে অনেকেই চাকরি করতে‌ অনীহা প্রকাশ করে। প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবসার দিকে মানুষ বেশি আগ্রহী। সেই দিক থেকে বর্তমান সময়ে মানুষ ব্যবসা টাকে অধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর অনলাইন বিজনেস হল ঘরে বসেই ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে ব্যবসা কার্য পরিচালনা করা এবং গ্রাহকদের সেবা দেওয়া।

অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করলে আপনি সকল কাজ যে কোন জায়গায় বসেই করতে পারবেন ফলে বাহিরের কোন ঝামেলা ফেস করতে হবে না। এছাড়াও মার্কেটিং খরচ দোকান ভাড়া ইত্যাদি বাড়তি খরচ হ্রাস পাবে। যা আপনার ব্যবসায় মুলধন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। চাকরির পাশাপাশিও নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় কাজ করেই আপনার বিজনেস দাড় করাতে পারবেন। আপনার যেকোনো মানবিক গুনের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারবেন এই মাধ্যমে। তাছাড়া এখানে কোনো প্রোডাক্ট  সেল করার জন্য সেলারি দিয়ে কোন কর্চারী রাখার প্রয়োজন নেই।কমিশনের ভিত্তিতে যে কেউ আপনার প্রোডাক্ট সেল করে দিবে। যার কারনে আপনি খুব সহজেই এই বিজনেস টা পরিচালনা করতে পারবেন। 

আমি কি অনলাইন বিজনেস করতে পারবো?

আপনাদের হাতে যদি কোনো স্মার্ট ফোন থাকে এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে আপনিও শুরু করতে পারবেন এই বিজনেসটি।তবে বিজনেস যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা সহজ নয়। এর  জন্য আপনাকে অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয় জানতে হবে। এই ব্যবসাটি যে কেউ  শুরু করতে পারে। তবে তার জন্য লাগবে ইউনিক কিছু আইডিয়া। বিজনেস পরিচালনা করার জন্য অদম্য ইচ্ছা শক্তি। তবে আগে বিজনেস টা শিখুন তারপর শুরু করুন।

বিজনেস আইডিয়া কিভাবে পাবো? 

প্রতিটি বিজনেস শুরু করার আগে আমাদের সেই বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। হুট করে কোন কাজ শুরু করা যায় না। তার জন্য প্রথমে আমাদের বিজনেস শেখা প্রয়োজন।  

  1. প্রথমে আমাদের বিজনেস সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয় জানতে হবে। 
  2. কোন প্রোডাক্টের চাহিদা বেশি সেটা নির্বাচন করতে হবে।
  3. বিজনেস বোঝার জন্য কোনো শো রুম বা কারখানায় কিছু দিন কাজ করতে পারেন অথবা অনলাইনে রিসেলিং করতে পারেন। এতে আপনার দুটি লাভ হবে। ভালোভাবে বিজনেস শিখতে পারবেন এবং  বিজনেসের জন্য প্রয়োজনীয় মুলধন যোগার করতে পারবেন। 
  4. আপনার যে কাজ করতে ভালে লাগে সেই কাজ সম্পর্কিত প্রোডাক্ট নিয়ে শুরু করবেন। যেমন; আপনার যদি কৃষিকাজ ভালো লাগে সেক্ষেত্রে আপনি কৃষি উদ্যোক্তা হতে পারেন। আবার যদি গার্মেন্টস টাইপের কোন কাজ করতে ভালো লাগে সেক্ষেত্রে আপনি একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খুলে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন বিজনেসটা প্রথমে ভালোভাবে আয়ত্ত করতে।

সবার শেষে  কিছু ইউনিক বিজনেস আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব । যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।তার জন্য শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন।

অনলাইন বিজনেস করতে কি কি লাগবে?

শুরু করার আগে আমাদের কিছু স্থায়ী সরঞ্জাম কিনতে হয়। তবে অনলাইন বিজনেস করার জন্য আমাদের এমন কোন সরঞ্জাম এর প্রয়োজন নেই। অনলাইনে বিজনেস পরিচালনা করার জন্য আমাদের লাগবে —-

  • যে কোন ব্র্যান্ডের একটি স্মার্টফোন 
  • ল্যাপটপ বা কম্পিউটার 
  • এবং ইন্টারনেট কানেকশন।

ইন্টারনেট কানেকশন এর জন্য আমরা ওয়াইফাই বা এমবি ব্যবহার করতে পারি। এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আমাদের কানেকশন যেন হাই স্পিড হয়। তা না হলে আমাদের কাজ করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

Online business bangla

অনলাইন ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগবে?

অনলাইন বিজনেস করতে আমাদের কোন মূলধনের প্রয়োজন নেই কথাটি শুনে হয়তো অনেকে অবাক হয়েছেন। তবে এটি সত্যি।অনলাইনে বিজনেস পরিচালনা করার জন্য আমাদের প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছা শক্তি এবং কাজ করার মানসিকতা। শুন্য মূলধন থেকে আমরা এই বিজনেস পরিচালনা করতে পারি।

যেমন রিসেলিং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বিজনেস পরিচালনা করতে পারি। আমরা কমিশনের বিনিময়ে অন্য কারো প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারি। এর ফলে আমাদের বিজনেসটা যেমন সবার কাছে পরিচিত হবে তেমনি আমাদের বিজনেসে প্রাথমিক মূলধন খুব সহজে জোগাড় হয়ে যাবে।

কাদের সার্ভিস বা সেবা দিবো?

বিজনেস শুরু করার আগে আমাদের এটা খেয়াল রাখতে হবে আমরা যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করছি তা কাদের প্রয়োজন। প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের কাস্টমার নির্বাচন করতে হবে। তাহলে আমরা সফল ভাবে কাজটি করতে পারবো। এবং খুব সহজেই ব্র্যান্ডিং হতে পারবো।

কিভাবে সবার নিকট সেবা পৌঁছে দিবো?

বিজনেস করতে গেলে আমাদের মনে রাখতে হবে প্রচারেই প্রসার। আমরা যে বিজনেসটাই শুরু করি সেটা আগে সবার কাছে প্রচার করতে হবে। তারপর কাস্টমার আগ্রহী হলে সেটা আপনি কাস্টমারের কাছে বিভিন্ন ওয়েতে পৌঁছে দিতে পারবেন।

একটি পেজ পারফেক্টলি কিভাবে খুলব?

সরাসরি বিজনেস করার সময় যেমন আপনার দোকান কে সুন্দর ভাবে সাজানো। তেমনি অনলাইন বিজনেস করার সময় একটি পেজ বা অ্যাকাউন্ট খুব সুন্দর ভাবে গোছাতে হয়। আর পেজ বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যদি অগোছালো থাকে এবং তা যদি কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারে সে ক্ষেত্রে আপনার সেল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আপনাকে পেজটি খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখতে হবে।

পেজ ক্রিয়েট: 

  • প্রথমে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি লগ ইন করে নিবেন।
  • এরপর পেজ লেখা অপশনটিতে ক্লিক করুন।
  • আপনার পেইজের নাম সেট করে নেক্সট এ ক্লিক করুন।
  • তারপর আপনার সমস্ত ইনফরমেশন পারফেক্টভাবে দিয়ে নিন।
  • কন্টাক্ট বাটন হিসেবে আপনি সেন্ট মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি সেট করে নিতে পারেন। তবে যেকোনো একটি বাটন শো করবে।
  • এরপর আপনার পেজের লোকেশনটি ঠিক করে দিবেন।
  • পেজের একটি সুন্দর লোগো ডিজাইন করে নিবেন।
  • আপনার পেজের নাম অনুসারে একটি কভার ফটো দিয়ে দিবেন।
  • পেজে পোস্ট করার সময় অবশ্যই নিজস্ব কনটেন্ট লিখে পোস্ট করবেন এবং পোস্টে ছবি সংযোজন করবেন।
  • পেজকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখবেন যাতে যে কোন কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

কিভাবে ব্যবসা কে ব্র্যান্ডিং করব?

ব্র্যান্ড হচ্ছে কোনো প্রতিক বা চিহ্ন বা এদের সমন্বিত রুপ।যার মাধ্যমে একজনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থেকে অন্যদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পুর্ন রুপে আলাদা করা।

  • কোন ব্যবসাকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য আপনার সর্বপ্রথম ব্যবসা সম্পর্কে সকলকে জানাতে হবে।
  • কি নিয়ে কাজ করছেন আপনার প্রোডাক্টের কোয়ালিটি কেমন সে বিষয়ে ভোক্তাকে সম্পূর্ণ ধারণা দিন।
  • আপনার প্রোডাক্ট কিনলে তারা লাভবান হবে কিভাবে সেই সম্পর্কে তাদের বুঝিয়ে বলুন।
  • সার্ভিস সম্পর্কে বলুন।
  • সততার সাথে কাজ করুন।
  • কোথা এবং কাজে মিল রাখুন।
  • খারাপ পণ্য ভালো বলে চালিয়ে দিবেন না।
  • প্রোডাক্টে কোন সমস্যা থাকলে ভোক্তাকে জানিয়ে দিন তাহলে ভোক্তার আপনার প্রতি বিশ্বাস জন্মাবে।

উপরের কাজগুলো ফলো করলে আপনার বিজনেস দিন দিন ব্র্যান্ডিং হবে এবং আপনি সততার সাথে বিজনেস করতে পারবেন।

কিভাবে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করব?

নিজেকে ব্রান্ডিং করা মানে নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করা যাতে সবাই আপনার নাম শুনলেই আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে। যেমন আমরা যদি কোনো ফোনের দোকান থেকে ফোন কিনি তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবো ভালো ব্র্যান্ডের ফোন কিনতে। কারণ আমরা যে কাজ নিয়ে বিশ্বাসী সেই কাজটাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

তাই আমাদের নিজেদের ব্র্যান্ডিং করার জন্য আমাদেরকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে লোকে আমাদের নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করতে পারে। সেজন্য আমাদের কথা এবং কাজে মিল রাখতে হবে এবং সততার সাথে সকল কিছু পরিচালনা করতে হবে।মানুষ এক নামে আমাদের চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারে। অনলাইন বিজনেস এর ক্ষেত্রে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কিভাবে সেল বৃদ্ধি করব? 

সেল বৃদ্ধি করার জন্য নিচের কিছু টিপস আপনারা ফলো করতে পারেন।

  • আপনার কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে হবে।
  • আপনার কথা এবং কাজ ঠিক রাখতে হবে। সততার সাথে বিজনেস করতে হবে ।
  • প্রোডাক্টের কোয়ালিটি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। খারাপ প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দেওয়া যাবে না।
  • কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট তৈরি করতে হবে।
  • কম দামে ভালো পণ্য দিতে হবে।
  • কাউকে কখনো ঠকানো যাবে না।
  • সীমিত লাভে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দিতে হবে। এতে সেল বাড়বে।
  • রিপিট কাস্টমার তৈরি করতে হবে। রিপিট কাস্টমার বিক্রয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
  • আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে সকলকে জানাতে হবে।
  • এত বেশি প্রচার করবেন আপনার সেল তত বৃদ্ধি পাবে।
  • নতুন কোন পণ্য বা সার্ভিস আপনি আপনার বিজনেসে অ্যাড করলে সেটা রিপিট কাস্টমারকে বা পুরানো কাস্টমারকে জানানো।

সব সময় মনে রাখবেন রিপিট কাস্টমার আপনার বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং বাহিরের কাস্টমাররা আপনার প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করবে।

ফেক সেলার কিভাবে চিনবো?

অনলাইন বিজনেসে ফেক সেলারের সংখ্যা বর্তমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেক সেলার দের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। 

ফেক সেলার চেনার উপায়:

  • তাদের আইডি রিয়াল হয় না অর্থাৎ তাদের আইডি নিজস্ব নাম বা ভোটার আইডি কার্ডের নাম অনুযায়ী না হয়ে বিভিন্ন ধরনের নাম হয়ে থাকে। যেমন ; ‘স্বপ্নের আকাশ’ এটা কোন ফেসবুক আইডির নাম হলে সেটা অবশ্যই ফেক।
  • তাদের কাছে কোন প্রোডাক্টের রিয়াল তথ্য থাকে না।
  • অধিক দামের জিনিস কম দামে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
  • সম্পূর্ণ টাকা প্রোডাক্ট দেওয়ার আগেই নিয়ে নেয়।
  • এক প্রোডাক্ট দেখিয়ে অন্য কোন প্রোডাক্ট দিয়ে দেয়। এটা ফেক সেলার  দের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।

কোন প্রডাক্ট কেনার আগে অবশ্যই তার রিয়েল পিক দেখে নিবেন। সম্পূর্ণ টাকা পেমেন্ট না করে শুধুমাত্র ডেলিভারি চার্জ বা কিছু টাকা পেমেন্ট করবেন। তাদের আইডি রিয়াল আছে কিনা সেটা দেখে দেবেন। নিজের নামে আইডি না হলে সে আইডি থেকে কোন প্রোডাক্ট কিনবেন না। বেশি টাকার লেনদেন হলে এনআইডি কার্ড বা প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য কালেক্ট করে নিবেন। দাম কম বলেই কোন দিকে ঝুকবেন না। তাহলে ঠকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

একজন সফল উদ্যোক্তা কিভাবে হবো?

যেকোনো কাজেই সফল হওয়া সহজ কোনো বিষয় নয়। সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম, সততা,জ্ঞান এবং আত্মবিশ্বাস। একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই সততার সাথে বিজনেস করতে হবে। আপনার ব্যবসায়িক প্লান সঠিক হতে হবে। যেকোনো কাজ করার আগে চিন্তা করে করতে হবে। কাজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। সব সময় আপনার কাজ অন্যদের থেকে ইউনিক হতে হবে। কথা দিয়ে যেকোনো মূল্যে কথা রাখতে হবে। যেকোনো বিষয়ে পজিটিভ থাকতে হবে। পন্যের কোয়ালিটি বাছাই করতে হবে।সবাইকে ভালো সার্ভিস দিতে হবে। এবং সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

উপরোক্ত টিপস গুলো ফলো করলে আপনাদের অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা চলে আসবে। অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে সকল তথ্য আমরা এই আর্টিকেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও নেক্সটে আমরা আসবো বিভিন্ন ধরনের বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে আপনাদের জানাতে। তার জন্য চোখ রাখুন আমাদের বাংলা গাইডে ধন্যবাদ সবাইকে।

ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আরও পড়ুন

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *