বর্তমান সময়ের চাকরির বাজারে যে অবস্থা তাতে করে চাকরি করে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকারি চাকরি তো সোনার হরিণ। কিন্তু বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পরিশ্রম বেশি করতে হয় কিন্তু ইনকাম কম। অনেকেই চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করে নিজে যেমন উদ্যোক্তা হচ্ছে, তেমনি অধিকভাবে লাভবান হচ্ছে। পাশাপাশি অনেকেই আবার অন্যের কর্মসংস্থান তৈরি করছে। 

অনেকেই আছেন যারা মাঝারী ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চান। আপনিও কি তাদের দলে? আপনি কি মাঝারি ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিতে চান? আপনি কি জানতে চান কোন ব্যবসা করে আপনি অধিক লাভবান হতে পারবেন? যদি এসব বিষয়ে জানতে চান তাহলে আজকের লেখাটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। আমাদের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন তাহলে আপনি মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে যাবেন।  চলুন তাহলে শুরু করা যাক –

ব্যবসায়ের প্রাথমিক করণীয় 

যে কোন ব্যবসার শুরুর সময় আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে –

  • লক্ষ্য স্থির করা :আপনি যে মাঝারি ধরনের  ব্যবসা করতে চাচ্ছেন এর জন্য আপনাকে আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আপনি যে ব্যবসা টি করবেন যেন ভবিষ্যতে সফল হতে পারেন সেইভাবে মনোবল ঠিক করতে হবে। 
  • মূলধন:ছোট  মাঝারি, বড়, সব ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে উপযুক্ত মূলধনের প্রয়োজন হয়। যেহেতু আপনি মাঝারি ব্যবসা করবেন, সেহেতু আপনাকে একটা হ্যান্ডসাম মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। যাতে ব্যবসায়ের মাঝখানে গিয়ে মূলধনের অভাবে ব্যবসা বন্ধ হয়ে না যায়। 
  • প্রবল ইচ্ছা ও সাহস: ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রবল ইচ্ছা ও সাহস থাকতে হবে। ভয় পেলে বা ইচ্ছার ত্রুটি থাকলে আপনি লাভবান হতে পারবেন না। সফল হতে পারবেন না। ব্যবসা শুরু করার আগে অনেকেই অনেক কথা বলবে। সে সব কথায় কান না দিয়ে মনের ইচ্ছা ও সাহস নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। 

১০ টি লাভজনক মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া

১। মাছ চাষ করা 

বাংলাদেশ মাছের চাহিদা প্রচুর। যতই দিন যাচ্ছে মাছের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। মাছ আমাদের আমিষের  চাহিদা পূরণ। বর্তমানে মাছ চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা পরিণত হয়েছে। আপনি যদি মাঝারি ধরনের ব্যবসা করার কথা চিন্তা করেন তাহলে মাছ চাষ করতে পারেন। যদি নিজস্ব পুকুর থাকে তাহলে তো ভালো। তা না হলে পুকুর বর্গা নিয়ে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে মাছ চাষ করে সহজেই অধিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। 

বর্তমানে অনেক বেকার যুবক উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য মাছ চাষের ব্যবসাকে বেছে নিয়েছে। এছাড়া আপনি যদি মাছ চাষ সম্পর্কে অদক্ষ হোন বা কিছু না জানেন তাহলে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ফ্রিতে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। কারণ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজেই হচ্ছে উদ্যোক্তা তৈরি করা। 

মাঝারি আয়ে মাছ চাষ করে যেমন আপনি উদ্যোক্তা  হতে পারবেন তেমনি আপনি যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করবেন তার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ আপনি লাভ করতে পারবেন। পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি একুরিয়ামে রঙিন মাছ চাষ করা যেতে পারে। বর্তমানে রঙ্গিন মাছের চাহিদা প্রচুর। কারণ বিভিন্ন বড় বড় কল কারখানা, অফিস, শোরুম কিংবা বাড়িতে ছোট একুরিয়ামে রঙ্গিন মাছ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাখা হয়। 

২। পোল্ট্রি খামার করা 

মাঝারি ধরনের আরেকটি ব্যবসা হল পোল্ট্রি খামার করা। দিন দিন পোল্ট্রির চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। মাঝারি অর্থ দিয়ে একটি পরিপূর্ণ পোল্ট্রি খামার করা সম্ভব। বর্তমানে অন্যান্য মাংসের যে পরিমাণ দাম সে কারণে পোল্ট্রি মুরগির চাহিদা ব্যাপক। পোল্ট্রি  মুরগি বাচ্চা অবস্থায় খামারে নিয়ে এসে কিছুদিন লালন পালন করার পর বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই ব্যবসায়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল পোল্ট্রি মুরগি খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের মাংস হয়। 

৩। খেলাঘর বিজনেস 

খেলাঘর বিজনেস একটি আধুনিক লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানের খেলাধুলার বিষয়ে খুবই সতর্ক। এছাড়া বর্তমানে সব বয়সের ব্যক্তিগণ খেলাধুলার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। বর্তমানে মানুষের শরীরে নানা ধরনের রোগের উদ্ভব হয়েছে। এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শরীর চর্চার প্রয়োজন। আর শরীর চর্চার একমাত্র হাতিয়ার হল খেলাধুলা করা। 

এজন্য খেলাধুলার জিনিসপত্রের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে। আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে খেলাঘর বিজনেস শুরু করা যেতে পারে। ছোট বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে বড়দের খেলাধুলার বিভিন্ন জিনিসপত্র  রাখতে হবে। এগুলো পাইকারি হিসেবে কম টাকায় কিনে। লাভ উপযুক্ত দামে বিক্রি করা যায়। তো মাঝারি ধরণের ব্যবসার ক্ষেত্রে এই ব্যবসা আপনার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা হতে পারে। 

৪। মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ব্যবসা 

বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। বর্তমানে প্রতিটি বাড়িতে কমপক্ষে দুই থেকে তিনজন মোবাইল ব্যবহার করে। যে হারে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হারে মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাক্সেসরিজ বা যন্ত্রাংশের চাহিদা বাড়ছে। মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাক্সেসরিজ বা যন্ত্রাংশ যেমন : চার্জার, ডিসপ্লে ব্যাটারি, টাচ স্ক্রিন, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, রিসিভার, ফ্লাশ, কভার, ইয়ারফোন, ওটিজি ক্যাবল , এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ মোবাইলের জন্য প্রয়োজন হয়। 

তাহলে এই ব্যবসাটা হতে পারে একটা লাভজনক ব্যবসা। যে হারে মোবাইল ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হারে কিন্তু মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মোবাইলে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ গুলো কম দামে পাইকারি ভাবে কিনে উপযুক্ত লাভ সহকারে বিক্রি করা যায়। আপনি যদি মাঝারি  ধরনের ব্যবসা করতে চান তাহলে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসা  করতে পারেন। 

৫। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির ব্যবসা 

অধিক লাভবান যুক্ত একটি ব্যবসা হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির ব্যবসা। বর্তমানে এমন কোন বাড়ি নেই বা বাসা নেই যেখানে ইলেকট্রনিক্স এ যন্ত্রপাতির ব্যবহার নেই। যতই দিন যাচ্ছে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির  চাহিদা এবং ব্যবহার বেড়েই যাচ্ছে। টেকনোলজি মানুষের জীবনকে যেমন সহজ করে দিয়েছে। এমনি কম করে দিয়েছে পরিশ্রমের হার। টেকনোলজির ব্যবহার ছাড়া আমাদের একটা মুহূর্ত চলে না। 

মাঝারি  ধরনের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনি ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ব্যবসা করার আইডিয়াটা নিতে পারেন। ইলেকট্রনিক্স জানতে পারি যেমন, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, হটপট,ওয়াটার হিটার, আয়রন মেশিন, চার্জার, মাল্টিপ্লাগ, ফ্যান, সুইস, বাল্ব, মটর ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি আছে। এগুলোর ব্যবহার আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত। আপনি এই ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির ব্যবসা করে সহজেই লাভবান হতে পারবেন। 

এছাড়া ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির সাথে আপনি সোলার প্যানেল যুক্ত করতে পারেন। বর্তমানে অনেক জায়গায় এখনো বিদ্যুৎ নেই, অথবা গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং এর পরিমাণ প্রচুর। সেজন্য তাদের সোলার প্যানেলের চাহিদা খুব। সোলার প্যানেল বিক্রি করেও মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। 

৬। খাবারের দোকান দেয়া 

প্রতিটি মানুষই চায় মানসম্মত খাবার খেতে। কিন্তু বর্তমানে মানসম্মত খাবার পাওয়া যায় না। খাবারের মধ্যে ভেজালের পরিমাণ অনেক বেশি। ভেজাল খাবার খেয়ে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও বর্তমানে খাবারের দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভির। বিভিন্ন মুখরোচর খাবার, ঝাল জাতীয় খাবার,  টক জাতীয় খাবার ও ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার মানুষ খুব পছন্দ করে। 

আপনি যদি মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে পারেন তাহলে লাভবান হতে আপনার বেশিদিন লাগবে না। এছাড়া খাবারের দোকানে বিভিন্ন ধরনের জুসের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। খাবারের দোকান দিয়ে ব্যবসা করার প্রথম শর্ত হলো কাস্টমারের বিশ্বস্ততা অর্জন করা, কাস্টমারকে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা। তাহলে সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে ভালো কিছু করা সম্ভব। 

৭। কাপড়ের শোরুম 

বর্তমানে পোশাক আশাকের ব্যাপারে সবাই সচেতন। মাঝারি ব্যবসায়ের ধারণা  হিসেবে কাপড়ের শোরুম ব্যবসা আপনার জন্য হতে পারে সোনায় সোহাগা। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের পোশাক নিয়ে শোরুম দেওয়া যেতে পারে। 

যতদিন যাচ্ছে পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে মানুষ লোকাল দোকানের চাইতে শোরুমে কাপড় কিনতে বেশি পছন্দ করে। কাপড়ের ব্যাপারে আপনি যদি কাস্টমারের কাছে একবার বিশ্বস্ত হয়ে যান তাহলে পরবর্তীতে সেই কাস্টমার আপনার শোরুমে তার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আসবে। এতে আপনার ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। মানুষ চায় সহজেই ভালো কাপড়চোপড় পেতে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে। তো এটার জন্য শোরুম হতে পারে বেস্ট। 

৮। কীটনাশকের ব্যবসা 

কৃষি ক্ষেত্রে ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য কীটনাশকের কোন বিকল্প হতে পারে না। কৃষি ক্ষেত্রে যেমন উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে, ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি ফসলে নানা ধরনের রোগ পোকামাকড়ের উদ্ভব হয়েছে। কীটনাশক ছাড়া বর্তমানে চাষাবাদ করাটাই মুশকিল। আপনি যাই কিছু চাষাবাদ করেন না কেন কীটনাশক লাগবেই। তো এক্ষেত্র কীটনাশক ব্যবসা মাঝারি ধরনের ব্যবসা হলেও প্রচুর পরিমাণে লাভবান হওয়া যায়। আপনি এই আইডিয়াটা ফলো করতে পারে।  এটা আপনার অনেক কাজে লাগবে। 

৯। দানাদার খাদ্যের ব্যবসা 

দানাদার খাবার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। আমরা এটাও জানি যে গরু ছাগল পালনের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মাঝে মাঝে দানাদার খাদ্যের সংকট দেখা যায়। দানাদার খাদ্যের ব্যবসা আপনার জন্য হতে পারে উপযুক্ত। অন্য দানাদার খাদ্য যেমন, ভুসি, ফিড, চালের গুড়া, গমের ভুসি, কাজাই, খৈল, খুদ ইত্যাদি। 

বর্তমানে গরু ও ছাগল পালনের হার অত্যাধিক। গরু-ছাগলের সুস্বাস্থ্যের জন্য দানাদার খাদ্য প্রয়োজনীয়। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গরু ছাগল পালিত হচ্ছে। এসব গরু ছাগলের জন্য বাজারে দানাদার খাদ্যের সংকট। তো এমতাবস্থায় দানাদার খাদ্যের ব্যবসা করে সফল হওয়ার সুযোগ থাকে। এই ব্যবসায়ের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া বর্তমানে বাড়িতে এবং পোল্ট্রি খামারে দানাদার খাদ্যের প্রয়োজন। তো আপনি যদি মাঝারি ধরনের ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন তাহলে দানাদার খাদ্যের ব্যবসা করে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে মূলধনসহ লাভবান হতে পারবেন। 

১০। প্রসাধনী ও কসমেটিক্স ব্যবসা 

এমন কোন মানুষ নেই যে প্রসাধনী পছন্দ করেন না। বর্তমানে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে প্রসাধনী ও কসমেটি ব্যবসা বহুল প্রচলিত। বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স যেমন: চুড়ি, মালা, ফেস ক্রিম, পাউডার, কানের দুল, ইত্যাদি। প্রসাধনী হচ্ছে আতর, বডি স্প্রে, বডি লোশন, মেরিল ইত্যাদি। বর্তমানে এগুলোর চাহিদা ব্যাপক। মধ্য মায়ের অর্থ ব্যয় করে যে কেউ প্রসাধনী ও কসমেটিক্স ব্যবসা করে সহজেই মূলধনসহ লাভবান হতে পারবে। 

মাঝারি ব্যবসা শুরু করার সুবিধা কি 

ব্যবসা হলো একটা মুক্ত পেশা। অনেকেই আছেন যারা চাকরি করতে চান না। অন্যের দাসত্ব পছন্দ করেন না। নিজে উদ্যোক্তা হতে চান, স্বাধীনভাবে ব্যবসা করে উপার্জন করতে চান। কিন্তু অনেকেই চিন্তায় পরে যান কিভাবে ব্যবসা শুরু করবেন, মাঝারি ব্যবসায় সুবিধা কি? 

মাঝারি ব্যবসায় কিছু সুবিধা আছে। দেখুন আপনি যদি মাঝারি ধরনের ব্যবসা শুরু করেন এক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবে না। সে ক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার কোন ভয় আপনার মধ্যে থাকবে না। আবার মাঝারি অর্থ ব্যয় করে আপনি সহজেই লাভবান হতে পারবেন। আর যদি কোন কারনে আপনি ব্যর্থ হয়ে যান তাহলে তা অল্প অর্থের উপর দিয়ে যাবে। অর্থাৎ মাঝারি ধরনের ব্যবসার পদ্ধতি হচ্ছে একটা উপযুক্ত ব্যবসা পদ্ধতি। 

মন্তব্য 

এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম ১০ টি মাঝারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। আপনারা যারা ব্যবসা করতে চান। তাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলটি ফলপ্রশু হবে। আমরা আশা করি আপনারা হয়তো আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে মাঝারি ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ব্যবসা সম্পর্কে যদি আপনাদের মনে আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করবেন। আমরা অতি আগ্রহের সহিত আপনাদের কমেন্টের উত্তর দিব। 

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *