আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
ম্যালিয়াস ডমেস্টিকা প্রজাতিভুক্ত রোসাসি পরিবারের মিষ্টি স্বাদের জনপ্রিয় একটি ফল হল আপেল। আপেল দেখতে যে রকম সুন্দর পুষ্টিগুণ তেমন সমৃদ্ধ। আপেল পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সবাই আপেল খেতে পছন্দ করলেও কিন্তু জানেন না আপেলের কি কি গুনাগুন আছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমানে আপেল অতটা খাওয়া হয় না। যাইহোক আপেলের গুনাগুন নিয়ে আজকে আলোচনা করব। অনেকেই আছেন শুধু আপেল খেয়েই যাচ্ছেন কিন্তু আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তো আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন এবং আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন –
আপেলের পুষ্টিগুন
আপেলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। প্রতি 100 গ্রাম আপেলের পুষ্টিগুন
- শর্করা –১৩.৮১ গ্রাম
- খাদ্যশক্তি –৫২ কিলোক্যালরি
- ভিটামিন সি –৪.৬ মিগ্রা
- ক্যালসিয়াম–৬ মিগ্রা
- ম্যাগনেসিয়াম –৫ মিগ্রা
- ফসফরাস–১১ মিগ্রা
- পটাশিয়াম–-১০৭ মিগ্রা
- ক্যারোটিন –-২৭ আইইউ
- ভিটামিন এ–-৩ আইইউবিটা
- খাদ্যআশ –-২.৪ গ্রাম
- চিনি –-১০.৩৯ গ্রাম
- জলীয় অংশ ৮৫.৮৬ গ্রাম
এছাড়া আরো আছে সোডিয়াম, ভিটামিন ই, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ক্লোরাইড, ভিটামিন কে, ফোলেট, প্যানটোথেনিক এসিড, নায়াসিন, থায়ামিন, রিভোফ্লেবিন, ইত্যাদি।
আপেল খাওয়ার উপকারিতা
আপেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুন উপস্থিত। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপহার হয় –
১. মরণবেধি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: ক্যান্সার ” সবচেয়ে ভয়ংকর মরণব্যাধি। একবার ক্যান্সার শরীরে বাসা বেঁধে ফেললে তা থেকে পরিত্রাণের সম্ভাবনা খুবই কম। ক্যান্সারের প্রধান ঔষধ হলো প্রতিরোধ করা। ক্যান্সার প্রতিরোধের সাহায্যকারী ফল হচ্ছে আপেল। আপেলের মধ্যে বিদ্যমান ফাইটোকেমিক্যাল ও আশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের রক্ষা করার পাশাপাশি অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনে বাধা দেয়। এছাড়া কোষের ক্ষয় রোধ করার পাশাপাশি কোষকে সুরক্ষা দেয়।
২. হাঁপানির তীব্রতা কমায়: হাঁপানির তীব্রতা কমাতে আপেল বেশি উপকারী ফল। হাঁপানির তীব্রতা কম হওয়া নির্ভর করে আপেল খাওয়ার পরিমাণ এর উপর। অ্যাডভান্সেস ইন নিউট্রিশন সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় যে, বিভিন্ন গবেষকরা আনুমানিক ৬৮ হাজার নারীকে নিয়ে একটি গবেষণা করেন, গবেষণার ফলাফল হিসেবে পাওয়া যায় যদি কেউ দিনে একটি আস্ত আপেল খায় তাহলে তার হাঁপানির তীব্রতা সবচেয়ে বেশি কমে যায়। এছাড়া দিনে একটি আপেলের পনেরো শতাংশ খেলে হাঁপানি তীব্রতা কমে মাত্র ১০%।
৩. ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে: বর্তমানে ডায়াবেটিসের সমস্যা হু হু করে বাড়তেছে। যতই দিন যাচ্ছে ডায়াবেটিসের সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া উচিত। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৮ শতাংশ কমে যায়। তাই ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪. হার্টের ঝুঁকি কমায়: আপেল বিভিন্ন পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হওয়ায় তা হার্টের ঝুঁকি কমায়। আপেলের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ ২.৪ গ্রাম, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। এছাড়া আপেলের মধ্যে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি এর পরিমাণ অধিক পরিমাণে থাকায় হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। নিয়মিত আপেল খেলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা ২০% কমে যায়। তাই শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এবং হার্টের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৫. ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: একটি দেহকে সুস্থ, স্বাভাবিক, কর্মক্ষম, রাখার জন্য প্রয়োজন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপেল বেশ উপকারী। বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিদিন সকালে একটি করে আপেল খান। আপেলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি ইত্যাদি থাকার কারণে প্রতিদিন আপেল খাওয়ার অভ্যাস করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়।
৬. ওজন কমাতে সাহায্য করে: আপনি কি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত? ওজন কমানোর উপায় খুজছেন? তাহলে নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করুন। আপেলের মধ্যে প্রচুর আশ থাকার কারণে ক্ষুধা কম লাগে। ফলে ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে কয়েক টুকরা আপেল খেয়ে নিন। তাহলে শর্করা জাতীয় খাদ্য কম লাগবে। এছাড়া সকালের নাস্তায় প্রতিদিন আপেল রাখতে পারেন।
৭. মানসিক সুস্বাস্থ্যে সাহায্য করে: মানসিকভাবে সুস্থ থাকা মানে শরীরের সবকিছু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলা। নিয়মিত আপেল খেলে মস্তিষ্কের নিউরন গুলো বেশি কার্যকর থাকে। আপেলে বিদ্যমান বহুল পুষ্টি উপাদানের কারণে মস্তিষ্কের সুগঠন হয় এবং নিউরনের কার্যকারিতা সচল থাকে। ফলে মানসিকভাবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়।
৮. পাকস্থলীর সমস্যার সমাধান: পাকস্থলীর সমস্যা কমবেশি সবারই প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। না পারেন শান্তি মত খেতে, না পারেন ঘুমাতে, না পারেন কাজকর্ম করতে। হঠাৎ করে পেট খারাপ হয়ে যাওয়া, পেটে ব্যথা হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা গুলো মাঝে মাঝে মোকাবেলা করতে হয়। নিয়মিত আপেল খেলে অন্ত্রের এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়। কারণ আপেলের মধ্যে পাওয়া যায় পেকটিন নামক উপাদান। যা বদ হজমের সমস্যার ক্ষেত্রেও উপকারী।
৯. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়: আপেলের মধ্যে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি ত্বকের কালো দাগ, ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে ত্বকে করে উজ্জ্বল ও মলিন। এছাড়া আপেলের পেস্ট তৈরি করে সাথে মধু ও দুধ মিশিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করা যায়। এই ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকের ফর্সা হওয়ার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
১০. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কারণ আপেলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম সমপরিমাণ আপেলে পটাশিয়ামের পরিমাণ থাকে ১০৭ মিলিগ্রাম। যা দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া পটাশিয়াম দেহে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ইলেক্ট্রোলাইট ও অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ ইত্যাদি কাজ পটাশিয়াম করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়ার উপকারিতা
- হৃদপিন্ডের জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।
- গর্ভস্থ সন্তানের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- শিশুর মস্তিষ্কের বিকশিত করে এবং স্মৃতিশক্তি ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়
- গর্ভবতী নারী ও শিশুর হাড়ের গঠন মজবুত করে।
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাব পূরণ করে।
- আপেলে ফলিক এসিড বা ফোলেট থাকার কারণে জন্মগত ত্রুটির সম্ভাবনা অনেক অংশে কম হয়।
- গর্ভবতী নারী নিয়মিত একটি করে আপেল খেলে শিশুর এলার্জি ও অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
আপেল খাওয়ার নিয়ম
পুষ্টিতে ভরপুর সুস্বাদু ফল হচ্ছে আপেল। আপেল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি দেহের প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো আপেলের মধ্যে পাওয়া যায়। সকালের নাস্তায় অথবা খালি পেটে আপেল খাওয়া যেতে পারে। আপেলের মধ্যে যে এসিড থাকে তা পাকস্থলীর এসিডকে কিছুটা বাড়িয়ে তোলে এবং খাবার হজমে ও অন্তরের ক্রিয়ায় সাহায্য করে। এছাড়া দুপুরে খাবারের আগে কয়েক টুকরা আপেল খেতে পারেন। এতে শর্করা জাতীয় খাদ্য কম লাগবে।
আপেল খাওয়ার অপকারিতা
- আপেলের মধ্যে ফাইবার জাতীয় উপাদান পাওয়া যায়। যার কারনে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং ক্ষুধা কম লাগে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে আপেল খেলে বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। দৈনিক ২০ থেকে ৪০ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করলেই যথেষ্ট।
- আপেলের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে আপেল খেলে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং সেই সাথে সুগার লেভেলও বেড়ে যাবে। তাই আপেল খাওয়ার ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে।
- আপেল উৎপাদনে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যা মানব দেহের জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
- আপেল বেশি খেলে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং সেই সাথে ওজনও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- দীর্ঘ এসিডিটির সমস্যায় আপেল খাওয়ায় সতর্ক থাকুন।
- আপেল বেশি পরিমাণে খেলে আপেলের মধ্যে থাকা এসিড দাঁতের ক্ষয় করতে পারে।
রাতে আপেল খেলে কি হয়?
রাতে আপেল খাওয়া ঠিক নয়। রাতে আপেল খেলে বদহজম বা হজমের সমস্যা এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। রাতে আপেল খেলে গ্যাস্টিকের চাপ বেড়ে যেতে পারে। কারণ পাকস্থলীর অ্যাসিডকে আপেলের মধ্যে থাকা এসিড কিছুটা বাড়িয়ে তোলে। ফলের শরীরে অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। রাতে ও বিকেলে আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
খালি পেটে আপেল খেলে কি হয়?
সকালে খালি পেটে আপেল খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আপেল খাওয়া যায় অথবা কিছু পানি পান করার পর আপেল খান। এতে করে এসিডিটির সমস্যার সমাধান হবে। আপেলের খোসায় ফ্লাভোনয়েড কোয়ারসেটিন থাকার কারণে খালি পেটে আপেল খেলে শরীরের ফোলা ভাব কমে এবং প্রদাহ কমে। হার্টের সুস্থতার জন্য খালি পেটে আপেল খাওয়া যায়। এছাড়া আপেলে ভিটামিন সি পটাশিয়াম ও অন্যান্য উপাদান গুলোর কারণে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বিশ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
আপেল খেলে কি গ্যাস হয়?
হ্যা, অতিরিক্ত আপেল খেলে গ্যাস হতে পারে। কারণ আপেলের মধ্যে যে এসিড থাকে তা পাকস্থলীর এসিডকে বাড়িয়ে দেয়। আপেল সমস্ত শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর যোগান দেয় এর ফলে অনেকেরই পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আপেলের বদলে কি খাওয়া যেতে পারে?
আপেলের বদলে পাকা পেয়ারা খাওয়া যায়। কারন আপেলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাকা পেয়ারার মধ্যে পাওয়া যায়। গবেষকদের মতে আপেলের পরিবর্তে পাকা পেয়ারা খেলে আপেলের সমপরিমাণ না হলেও কাছাকাছি পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে।
আপেল খেলে কি ওজন বাড়ে?
নিয়মিত আপেল খেলে ওজন কমে যায়। বাড়তি ওজন দূর করতে চাইলে আপেল খেতে পারেন। আপেল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে ফলে অনেক ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন হয়। সেই সাথে মেদ ঝরে যায় এবং ওজন কমে যায়।
আমাদের কিছু কথা
আপেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এতোক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম। খুটি নাটি বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা সবাই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তারপরও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ।
খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে আরও পড়ুন
- পানি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
- আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা
- যবের ছাতুর উপকারিতা এবং যবের ছাতু খাওয়ার নিয়ম
- গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
- রাতের খাবার কেমন হওয়া উচিৎ?
- শসার উপকারিতা ও অপকারিতা
- খাবার খাওয়ার পরপরই চা পান, ভালো নাকি খারাপ
- কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, যে বিষয়গুলো না জানলে বিপদ