গোড়ালির ত্বক ফাটলে করণীয়

শীত মানেই যে সব আনন্দের ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। শীতে ফল সবজি রঙ্গিন হয়ে থাকলেও, শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আমাদের পায়ের গোড়ালির ত্বক ফেটে যায়। যা আমদের অসস্তিতে ভুগায়। আসুন যেনে নেওয়া জাক কিভাবে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার প্রতিকার করতে পারি। 

প্রতিকার এর উপায় সমূহঃ 

১) ভ্যাসলিন ও লেবুর বসের ব্যবহার

এই শীতে হাত ও পা এর গোড়ালির ত্বক ফাটা রোধ করতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে লেবুর রস ও ভ্যাসলিন যা অত্যান্ত সহজলভ্য। ভ্যাসলিন এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পায়ে লাগাতে হবে। পায়ের মৃত কোষ তুলতে প্রতিদিন পিউমিক স্টোন দিয়ে পা ভালোভাবে ঘসতে হবে। আস্তে আস্তে মৃত চামড়া সরে গিয়ে পা সফট হবে। গোড়ালি ফাটা রোধ হবে। 

২) মধুর ব্যাবহার

মধু এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা খুবই উপকারী। পরিষ্কারপাত্রে দুই লিটার কুসুম গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু মিশান। এরপর ১০ মিনিট ধরে পা পানিতে চুবিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পরে পা মুছে শুকান এবং গ্লিসারিন, গোলাপ জল ও লেবুর রসের মিশ্রণ পায়ের গোড়ালির ফাটা জায়গায় লাগান। এভাবে ১ সপ্তাহ ব্যাবহার করুন। 

৩) অ্যালোভেরা জেল ব্যাবহার

একটি পাত্রে তিন লিটার কুসুম গরম পানি নিন। এতে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে ২০ মিনিট পা চুবিয়ে রাখুন। পানি থেকে পা তুলে মুছে নিন। শুকনো পায়ের গোড়ালির ফাটা স্থানে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ম্যাসাজ করে মুজা পরুন। এভাবে সারারাত রেখে পরেরদিন সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। ১ সপ্তাহে অন্তত ২ বার করুন। ধীরে ধীরে পা মসৃণ হবে। 

৪) বডি ওয়েল এর ব্যাবহার

পা ফাটা রোদে বডি অয়েল বেশ কার্যকরী যেমনঃ তিলের তেল, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, নারকেল তেল ইত্যাদি। এইসব তেল ব্যবহারে পা ফাটা রোধ হয় এবং পা দেখতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে তেল মালিশ করুণ। অল্প দিনের মধ্যেই পা ফাটা সেরে যাবে। 

৫) কলার ব্যাবহার

পাকা কলা চটকে পায়ের গোড়ালির ফাটা জায়গায় ২০ মিনিট লাগান। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ফেলুন। কলায় প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যা পা ফাটা রোধ করে এবং পা মসৃণ ও সুন্দর করে।

শীতকাল যেহেতু শুষ্কতার সময়। এই সময় আমাদের হাত-পা ও শরীরের  প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যাতে ত্বক ফেটে না গিয়ে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *