গ্রীষ্মকালীন বড় সাইজের সুস্বাদু একটি ফল তরমুজ। তরমুজের ইংরেজি নাম ওয়াটার লেমন এবং তরমুজের বৈজ্ঞানিক নাম Citrullus lanatus. তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি পাওয়া যায় এজন্য তরমুজকে বলা হয় ওয়াটার লেমন।গ্রীষ্মকালের তরমুজ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। গরমের ক্লান্তিতে যখন মানুষ হাঁসফাঁস করে তখন তরমুজের এক টুকরো পিচ এনে দেয় প্রশান্তি। সুস্বাদু এই ফলটির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে আমরা আলোচনা করব তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। যারা জানেন না তারা আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়ুন এবং জেনে নিন তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

তরমুজের পুষ্টি উপাদান  

লাল টকটকে সুস্বাদু এই ফলটির নানা রূপ পুষ্টি উপাদান প্রধান আছে – প্রতি ১০০ গ্রাম সমপরিমাণ তরমুজের টুকরায় পুষ্টি উপাদান 

  • পানি: ৯১.৪৫ গ্রাম 
  • পটাশিয়াম: ১১২ মিলি গ্রাম 
  • ক্যালসিয়াম: ৭ মিলি গ্রাম 
  • ফসফরাস: ১১ মিলি গ্রাম 
  • ম্যাগনেসিয়াম : ১০ মিলি গ্রাম 
  • ভিটামিন সি : ৮.১ মিলি গ্রাম 
  • কোলিন: ৪.১ মিলি গ্রাম 
  • প্রোটিন : .৬১ গ্রাম 
  • স্নেহ পদার্থ : .১৫ গ্রাম 
  • শর্করা : ৭.৫৫ গ্রাম 
  • শক্তি : ১২৭ কিলো জুল 
  • চিনি: ৬.২ গ্রাম 
  • বিটা ক্যারোটিন:৩০৩ মাইক্রো গ্রাম 
  • থায়ামিন: ০.০৩৩ মিলি গ্রাম 
  • নায়াসিন (বি৩): .১৭৮ মিলি গ্রাম 
  • প্যানটোথেনিক এসিড :. ২২১ মিলি গ্রাম 
  • ভিটামিন বি ৬: ০.০৪৫ মিলি গ্রাম 
  • লৌহ : .২৪ মিলি গ্রাম 
  • সোডিয়াম : ১ মিলি গ্রাম 
  • লাইকোপেন : ৪৫৩২ মাইক্রো গ্রাম 

ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের উপাদান পাওয়া যায়। 

তরমুজের উপকারিতা 

১। ডিহাইড্রেশন দূর করে

তরমুজ দেহের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে ডিহাইড্রেশন দূর করতে পারে। ১০০ গ্রাম সমপরিমাণ তরমুজের একটি ফালিতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯১.৪৫ গ্রাম। যা আমাদের দেহের পানির চাহিদা কিছুটা হলে পূরণ করতে পারে। একটি দেহের সুস্থ স্বাভাবিকতা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন সাত থেকে আট গ্লাস  পানি  খাওয়া প্রয়োজন হয়। গরমের দিনে ঘামের সাথে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা যায়। শরীরের এই পানি শূন্যতা রোধ করতে তরমুজ খান। তাহলে ডিহাইড্রেশন দূর হবে এবং তরমুজের অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের কারণে শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া বজায় থাকবে। 

২। ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় 

মরণব্যাধি ক্যান্সারের সম্ভাবনা বা ঝুকি এড়াতে তরমুজ খেতে হবে। তরমুজের মধ্যে পাওয়া যায় ক্যান্সার প্রতিরোধি লাইকোপেন। ১০০ গ্রাম সমপরিমাণ তরমুজের একটি ফালিতে চার হাজার পাঁচশত বত্রিশ মাইক্রোগ্রাম লাইকোপেন  পাওয়া যায়। লাইকোপেন ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  দেহে ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে। এছাড়া তরমুজ প্রোটেস্ট ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুস ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধি লাইকোপেন এ-র প্রয়োজনীয়তার জন্য তরমুজ খেতে হবে। 

৩। ত্বক ভালো রাখে 

ত্বকের সুস্থতায় ও ত্বক ভালো রাখতে তরমুজ খাওয়া উচিত। তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা ত্বকের উজ্জ্বলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া তরমুজে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন ও অন্যান্য উপাদান। যা ত্বক ভালো রাখতে খুবই প্রয়োজনীয়। ত্বকের কালো দাগ, ব্রণ, বলি রেখা ইত্যাদি দূর করতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হয়। আর এই ভিটামিন সি গ্রহণ করতে হয় বিভিন্ন খাদ্য থেকে। তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি,সি পাওয়া যায়। তাই দেহের চাহিদা পূরণে ও ত্বক ভালো রাখতে তরমুজ খেতে হবে। যা আমাদের স্কিনের জন্য ভালো এবং চোখের জন্য ভালো। 

আরও পড়ুন: গরমে ত্বকের যত্ন

৪। দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে 

চোখ ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার। তাই চোখের সুস্থতায় তরমুজ খাওয়া উচিত। তরমুজের মধ্যে ক্যারোটিনয়েড নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাওয়া যায়। যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে এবং সেই সাথে চোখের সুস্থতা বজায় রাখে। এছাড়া তরমুজে পাওয়া ভিটামিন এ।আমরা সবাই জানি ভিটাইন এ এ-র অভাবে রাতকানা রোগ হয়। তাই তরমুজ খেতে হবে কারন তরমুজ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৫। অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে 

আপনি কি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে  চিন্তিত? তাহলে তরমুজ খান। তরমুজের মধ্যে সামান্য পরিমাণ সুগার আছে। যার ফলে তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় না। অন্যদিকে তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়  পাওয়া যায়। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতি দিনের ডায়েটে তরমুজ রাখতে পারেন। 

৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 

তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তরমুজের মধ্যে আছে নায়াসিন, ভিটামিন বি ৬, ক্যারোটিন, লাইকোপেন ইত্যাদি। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া তরমুজ খেলে  দেহে ইলেক্ট্রোলাইট এ-র সমতা বজায় থাকে।কারন তরমুজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট বিদ্যমান। তাই ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য তরমুজ খাওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়-চমৎকার ৮টি উপায় জেনে নিন

৭। হৃদরোগ থেকে মুক্ত করে 

তরমুজের মধ্যে আমরা লাইকোপেন পেয়ে থাকি, যেটা গাজর বা টমেটোতেও পাওয়া যায়। কিন্তু তরমুজের মধ্যে বেশি পরিমাণে লাইকোপেন পাওয়া যায়। যা আমাদের কার্ডিওভাসকুলার বা হৃদরোগের যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেটা থেকে আমাদের রক্ষা করে। এছাড়া তরমুজের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য পুষ্টি উপাদান গুলো হার্টের ব্লক দূর করা সহ হার্টের সুস্থতায় কাজ করে। 

৮। হাইপার টেনশন থেকে মুক্ত করে 

বর্তমানে আমরা প্রায় অনেক মানুষ হাইপার টেনশন সমস্যায় ভুগে থাকি। এর ফলে দেহে বাসা বাধে নানান ধরনের জটিল রোগ। হাইপার টেনশন থেকে মুক্ত থাকতে তরমুজ খাওয়া উচিত। তরমুজের মধ্যে আছে সাইট্রোলিন নামক একটি উপাদান যা হাইপার টেনশন থেকে আমাদের রক্ষা করে। তরমুজের  মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা আমাদের ব্লাড প্রেসার বা হাইপার টেনশন মুক্ত থাকতে সাহায্য করে। 

৯। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে 

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কারণে আমরা স্ট্রেস বা  দুশ্চিন্তায়  ভুগে থাকি। এর ফলে আমাদের দেহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। গবেষণায় প্রমাণিত, বিটা ক্যারোটিন  সমৃদ্ধ খাবার খেলে স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা কমে যায়। তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া তরমুজের মধ্যে পাওয়া যায় থায়ামিন বি৩ ও নায়াসিন। যা আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মান নিয়ন্ত্রণ করে। 

১০। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। 

আপনি কি কোলেস্টেরলের দুশ্চিন্তায় আছেন? তাহলে নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ তরমুজ খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। তরমুজের মধ্যে আছে লাইকোপেন যা লিপিড কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তরমুজ খেতে পারেন। ডায়েটে আপেল, কমলা কলা ইত্যাদির পাশাপাশি তরমুজ রাখতে পারেন। 

তরমুজের বীজের উপকারিতা 

আমরা তরমুজ খাওয়ার সময় বিচির কারণে বিরক্ত হই। তরমুজের বীজ ফেলে দেই। কিন্তু আমরা জানি না তরমুজের বীজ খেলে উপকারিতা পাওয়া যায়। এক কাপ পরিমাণ তরমুজের বীজে আছে ৬০০ ক্যালরি। এছাড়া আরো আছে, খাদ্য আশ, অ্যামিনো ও ফ্যাটি এসিড, ফোলেট ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি। হার্টের সুস্থতায় ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তরমুজের বীজ বেশ উপকারী।তরমুজের বীজে  আছে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিআস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া তরমুজ ফল ও তরমুজের বীজ মানব প্রজননের জন্য ভালো উপকারী। কারণ তরমুজ ও তরমুজের বীজে জিংক পাওয়া যায়। জিংক পুরুষের শুক্রাণুর মান উন্নত করে। তরমুজের বীজে ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড আছে, যা টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই ইমিউনিটি সিস্টেম, মস্তিষ্ক, হার্ট, সবকিছুই সুস্থ রাখতে তরমুজের বীজ ফেলে না দিয়ে খাওয়া উচিত। 

তরমুজ খাওয়ার নিয়ম 

তরমুজ যে কোন সময় খাওয়া যায়। তবে দিনের বেলা তরমুজ খেলে তাড়াতাড়ি হজম হয়। গ্রীষ্মকালে সারাদিনের প্রচন্ড তাপে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ঘামের সাথে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। যেহেতু তরমুজে 92 পার্সেন্ট পানি তাই দিনের বেলা তরমুজ খেলে দেহের পানি শূন্যতা পূরণ হয়। 

তরমুজের উপকারিতা 

আসুন জেনে নেই তরমুজের কি কি অপকারিতা আছে –

  • তরমুজে বিদ্যমান লাইকোপেন থাকার কারণে অতিরিক্ত তরমুজ খেলে ডায়রিয়া, বমি, হজমের সমস্যা, এসিডিটি ইত্যাদি হতে পারে। 
  • তরমুজ উপকারী ফল হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে সেটা স্যুট নাও করতে পারে। বিভিন্ন এলার্জি জনিত সমস্যা চুলকানি, ফুসকুড়ি, ফোলা ভাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • পটাশিয়াম যেমন কার্ডিওভাসকুলার বা হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খেলে এই পটাশিয়াম কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই পরিমাণ মতো তরমুজ খাওয়া উচিত। 
  • তরমুজ খেলে রক্ত চাপ স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু অতিরিক্ত তরমুজ খেলে রক্তচাপ একেবারে কমে যেতে পারে, ফলে দেহে প্যারালাইজড হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 
  • কিডনি রোগীদের তরমুজ খাওয়া উচিত নয়। কারণ তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। যার কারণে কিডনি  প্রাননাশের আশঙ্কা থাকে। 

গর্ভাবস্থায় কি তরমুজ খাওয়া যায়? 

হ্যা, গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমানে তরমুজ  খাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে ডিহাইড্রেশন সমস্যা দূর হয়, বুক জ্বালা পোড়া, এসিডিটি সমস্যার সমাধান হয়। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, পেশি সচল থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট পরিমাণে তরমুজ খেলে কোন সমস্যা হয় না। 

কিডনি রোগীর তরমুজ খাওয়া যায়? 

উত্তর: না, কিডনি রোগীদের তরমুজ খাওয়া উচিত নয়। কারন কিডনি রোগ হলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পটাশিয়াম বের হয় না। এই অবস্থায় যদি তরমুজ খাওয়া হয় তাহলে তরমুজের মধ্যে বিদ্যমান পটাশিয়াম এবং  দেহের  পটাশিয়াম মিলে কিডনি নষ্ট করে দিতে পারে। 

খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয়? 

দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের চাহিদা পূরণ করতে, সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে, সকালে খালি পেটে তরমুজ খাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালে সাধারণত দেহে ডিহাইড্রেশন  সমস্যা হয়। ফলে দেহে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। সকালে খালি পেটে তরমুজ খেলে ডিভাইডারেশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং শরীরের স্বস্তি ভাব আসে। 

মন্তব্য

এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। আশা করি আপনারা সবাই ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। যদি স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো বিভিন্ন ধরনের টিপস জানতে চান তাহলে আমাদের সাইটি ভিজিট করুন। 

খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *