দৌড়ানোর উপকারিতা জানুন সুস্থ থাকার জন্য কতক্ষণ দৌড়ানো প্রয়োজন
দৌড়ানোর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে দৌড় সম্পর্কে জানতে হবে। আর দৌড় সম্পর্কে জানতে হলে জানতে হবে:
দৌড় কি
দৌড় কি ! এইটা আবার কেমন কথা, এইটা আবার কেমন পাগলের প্রলাপ এমনটাই মনে করছেন তাই তো? না বন্ধুরা আজকে আমরা জানব দৌড় সম্পর্কে। দৌড়ের শাব্দিক অর্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় দৌড়ের সমার্থক শব্দ (বেগ,সীমা,ছুট,ধাবন ইত্যাদি)। দৌড় হচ্ছে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর সীমিত সময়ে পায়ের মাধ্যমে শরীরের সর্বোচ্চ গতিতে অল্প দূরত্ব অতিক্রম করার অনুমতি।
দৌড়ানোর প্রয়োজনীয়তা
কে না চায় সুস্থ সবল থাকতে আর সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজন প্রতিদিন সকাল ও বিকাল কিছু সময়ের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম। আর দৌড় হচ্ছে সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। তাই সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজন প্রতিদিন নিয়মিত কিছু সময়ের জন্য দৌড়ানো। দৌড়ানোর ফলে আমাদের দেহের পেশিগুলো দ্রুত সক্রিয় হয় হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।
দৌড়ের উপকারিতা
দৌড়ানোর উপকারিতা সম্পর্কে যত বলব, কমই হবে। দৌড়ের রয়েছে বহুবিধ উপকারিতা তম্মধ্যে কিছু হচ্ছে;
- দৌড়ানোর ফলে পেশি সচল থাকে।
- কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ যা হৃৎপিণ্ড বা রক্তনালীকে প্রভাবিত করে এমন অবস্থা। যার ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে।দৌড়ানোর ফলে এর ঝুঁকি কমে।
- উদ্বিগ্নতা ও অস্থিরতা কমে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিছু সময়ের জন্য হলেও নিয়মিত দৌড়ানো উচিত।
- মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- দৌড়ানোর ফলে হাড়ের গঠন দৃঢ় ও মজবুত হয়।
- শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয় ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
- প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট দৌড়ালে ওজন কমানো যায়।কারণ দৌড়ানোর পর রক্তের পেপটাইড ওয়াইওয়াই হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।এটা ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত দৌড়ানোর ফলে রাতে ঠিকমতো ও আরামদায়ক একটি ঘুম হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
পরিশেষে বলা যায় দৌড়ের উপকারিতা অনেক। প্রত্যেকের উচিত প্রতিদিন কমপক্ষে এক বা দুই বার অন্তত ৩০ মিনিট দৌড়ানো।